প্রতীকী ছবি।
বিমানে পাশে বসা যাত্রীর হ্যান্ডব্যাগ হাতড়ে লাখ লাখ টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দিতেন তিনি। এক-দুটো নয়, প্রায় দুশো বিমানে ভ্রমণ করে চুরির ঘটনা ঘটাতেন ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আর এক জনকেও ধরেছে পুলিশ। চোরাই জিনিস বেচাকেনার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজেশ কপূর নামে এক যুবক গত এক বছরে প্রায় ২০০টি বিমানে যাত্রা করেছেন। বিমানযাত্রার মাঝেই চুরির কাণ্ড ঘটাতেন তিনি। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (আইজিআই) উষা রঙ্গানানি সাংবাদিক সম্মেলন করে চুরিকাণ্ডের কথা জানান। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা পাহাড়গঞ্জ এলাকা থেকে রাজেশকে গ্রেফতার করেছি। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে।’’
রঙ্গানানি আরও বলেন, ‘‘গত তিন মাসে আমরা বিমানে দু’টি পৃথক চুরির অভিযোগ পেয়েছিলাম। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছিল, দু’টি চুরির ঘটনার নেপথ্যে এক জনই রয়েছেন। আমরা একটা বিশেষ দল গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করি।’’
সূত্রের খবর, গত ১১ এপ্রিল হায়দরাবাদ থেকে দিল্লিগামী বিমানে এক যাত্রীর সাত লক্ষ টাকার গয়না চুরি যায়। অন্য ঘটনাটি ২ ফেব্রুয়ারির। অমৃতসর থেকে দিল্লিগামী বিমানে সে বার চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল। এক যাত্রীর ২০ লক্ষ টাকার গয়না চুরি যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই দুই বিমানের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানেই দেখা যায় ওই দুই বিমানের যাত্রী তালিকায় নাম ছিল রাজেশের।
অভিযুক্তের খোঁজ পেতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের থেকে তথ্য চায় পুলিশ। এয়ারলাইন্সের থেকে রাজেশের ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সেই নম্বর ভুয়ো বলে জানতে পারে পুলিশ। তবে পুলিশ পরে রাজেশের আসল নম্বর খুঁজে পায়। তার পরই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। পুলিশি জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করেন রাজেশ। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, চুরির গহনা বিক্রি করে যে টাকা পেয়েছিলেন, তা অনলাইন জুয়া খেলায় ব্যয় করছেন।