প্রতীকী ছবি।
বোনের বিয়ের জন্য দরকার টাকা। সে জন্য নিজের অপহরণের গল্প ফাঁদলেন দিল্লির ২৪ বছরের এক যুবক। পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে— এই বলে ফোন করেছিল কাকা মুদাসসিরকে। ওয়াজিরাবাদ পুলিশ তদন্তে নামার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সামনে এল ‘মিথ্যা’ অপহরণের গল্প।
৫ জুলাই সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ মুদাসসির ওয়াজিরাবাদ থানার পুলিশকে জানান, তাঁর ভাইপো সলমনকে অপহরণ করা হয়েছে। ওয়াজিরাবাদের রামঘাটের বাসিন্দা সলমন তাঁর কাকাকে জানিয়েছিলেন, বোলেরো গাড়ি করে চারজন তাঁকে যমুনা পুস্তা থেকে অপহরণ করেছে। তারা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। এই অপহরণের কথা নিজের খুড়তুতো ভাই আরশাদকেও জানিয়েছিলেন সলমন।
এই খবর পেয়ে তিন ভাগে ভাগ হয়ে তদন্তে নামে পুলিশের একটি দল। এক দল সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেন ও বাকিরা অপহরণ যেখানে হয়েছে সেখানে যান।
সলমনের মোবাইলের লোকেশন পরীক্ষা করে পুলিশ জানতে পারে, সে আনন্দবিহারে রয়েছে। পুলিশের একটি দল সঙ্গে সঙ্গে আনন্দবিহার পৌঁছয়। সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ দেখে যে, আনন্দবিহার আইএসবিটি-র কাছে একটি নালার ধারে বসে রয়েছে সলমন। অক্ষত অবস্থাতেই রয়েছে সে।
আরও পড়ুন: চিনের সেনা সরানো ৬২ সালের পুনরাবৃত্তি নয়তো! সতর্ক বাহিনী
তার পর সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। শুরুতে সলমন পুলিশকে বলে অপহরণকারীরা তাকে সেখানে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশি জেরার মুখে কিছুক্ষণের মধ্যেই সে সত্যি কথা স্বীকার করে নেয়। সলমন জানায়, বোনের বিয়ের জন্য তার টাকার দরকার। তাঁর কাকার প্রচুর টাকা রয়েছে। তাই নিজের অপহরণের গল্প ফেঁদে মুক্তিপণের টাকা নিতে চেয়েছিল কাকার থেকে। সেই টাকাতেই বোনের বিয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিল।
আরও পড়ুন: দেশে মোট আক্রান্ত সাত লক্ষ ছাড়াল, মৃত্যু পেরলো ২০ হাজার