Arvind Kejriwal

কেজরীওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর মামলা খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট, কী বলল আদালত?

গত সোমবার আবগারি মামলায় কেজরীওয়ালের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫০
Share:

অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। জেল থেকেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এই নিয়ে তৃতীয় বার একই আর্জির মামলা খারিজ করল আদালত।

Advertisement

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এই মামলা খারিজ করে দিয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘‘তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কি না, সেটা তাঁর বিষয়। গণতন্ত্রকে নিজের পথে চলতে দিন।’’ এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন হিন্দু সেনা নামে একটি সংগঠনের সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত।

গত রবিবার কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির জোট ‘ইন্ডিয়া’ সমাবেশ করেছিল। যে সমাবেশে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পরের দিন সোমবার আবগারি মামলায় কেজরীওয়ালের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক। স্বামীর শুনানিতে হাজির থাকতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির ছিলেন স্ত্রী সুনীতা কেজরীওয়াল। আদালত থেকে বেরিয়ে সুনীতা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘কেন তাঁকে (কেজরীওয়াল) জেলে পাঠানো হল? ওদের (বিজেপি) একটাই লক্ষ্য, লোকসভা ভোটের সময় তাঁকে জেলের ভিতরে রাখা।” তার পরই তাঁর সংযোজন ছিল, “দেশের মানুষ এই স্বৈরাচারের জবাব দেবেন।”

Advertisement

আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তার পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে তারা। ইডি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি তল্লাশি করে ৭০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। যদিও সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। তবে চারটি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত মোবাইলও। মোবাইল খুলতে ইডি যোগাযোগ করেছে অ্যাপলের সঙ্গেও।

কেজরীর গ্রেফতারকে সার্বিক ভাবে সমস্ত বিরোধী দলই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে অভিহিত করেছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করলেন, ‘‘গণতন্ত্রকে নিজের পথে চলতে দিন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement