বিনয় মিশ্র। ফাইল চিত্র।
একদা যুব তৃণমূলের নেতা বিনয় মিশ্রকে ‘পলাতক অপরাধী’ হিসেবে ঘোষণা করল দিল্লির আদালত। গরু পাচার মামলায় ইডি-র আর্জির ভিত্তিতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট আজ এই নির্দেশ জারি করেছে।
ইডি ও সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, গরু ও কয়লা পাচার থেকে আয়ের মোটা টাকা বিনয় মিশ্রের মাধ্যমেই পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রভাবশালীদের’ কাছে পৌঁছে যেত। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশের ব্যাঙ্কেও জমা করেছিলেন বিনয়। তদন্ত শুরুর পর থেকেই বিনয় উধাও হয়ে যান। এখন তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানাটুতে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে তদন্তকারীদের দাবি।
বিনয়কে সমন পাঠানো সত্ত্বেও হাজির না হওয়ায় ইডি আইন মাফিক তাঁর কালীঘাটের ধর্মদাস রো-এর বাড়িতে নোটিস ঝুলিয়ে এসেছিল। কালীঘাট থানাতেও জানানো হয়েছিল। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রানা আজ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে বিশেষ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহকে জানান, গরু পাচার মামলার অন্যতম ‘কিংপিন’ বিনয় মিশ্র গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্ত্বেও আদালতে হাজির হননি। রেড কর্নার নোটিসের মতো পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাঁকে ঘোষিত অপরাধীর তকমা দেওয়া দরকার।
গত এপ্রিলেই ইডি গরু পাচার মামলায় বিনয় মিশ্র, এনামুল হক ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করেছে। ইডি গ্রেফতার করার পরে এনামুল এখন তিহাড় জেলে। আজ আদালতে তাঁর তরফে জেলে বিছানার বন্দোবস্ত করার (দিল্লিতে ঠান্ডার দরুন) আর্জি জানানো হয়েছিল। আদালত এ বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। গরু পাচার মামলার তদন্তে গত সপ্তাহে ইডি বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা, অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। আজও দিল্লিতে রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।