Arvind Kejriwal

‘সিনেমা নয় যে সিক্যুয়েল হতেই থাকবে’, কেজরীকে পদ থেকে সরানোর মামলা খারিজ করে বলল আদালত

মামলাকারীকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। কেন তাঁকে জরিমানা করা হল তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলে, ‘‘এর আগে এই আদালতই একই আবেদন সংক্রান্ত মামলা দু’বার খারিজ করেছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৬
Share:

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।

অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে দায়ের করা মামলায় দিল্লি হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ কুমারকে। পাশাপাশি তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করল আদালত। সেই সঙ্গে হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণে বলে, ‘‘এটা কোনও জেমস বন্ডের সিনেমা নয়, যে পর পর সিক্যুয়েল হতেই থাকবে!’’

Advertisement

গত সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরীকে সরানোর দাবি জানিয়ে সন্দীপ হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট বা দেশের কোনও হাই কোর্ট কি আজ পর্যন্ত কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে অপসারণ করেছে? যদি করে থাকে তা আমরা জানতে চাই।’’

তার পরই মামলাকারীকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। কেন তাঁকে জরিমানা করা হল তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এর আগে এই আদালতই একই আবেদন সংক্রান্ত মামলা দু’বার খারিজ করেছে। তার পরও একই মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এটা কোনও জেমস বন্ডের সিনেমা নয় যে, সিক্যুয়েল বানাতেই থাকব। এই ধরনের ঘটনা যাতে নিয়মিত না ঘটে তাই জরিমানা আরোপ করা হচ্ছে।’’

Advertisement

কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে অপসারণ করার ক্ষমতা রাজ্যপালের রয়েছে, তাই এই ব্যাপারে তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। মামলাকারীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘‘দয়া করে আদালতে কোনও রাজনৈতিক বক্তৃতা করবেন না। দরকার হলে রাস্তায় যান। আমাদেরকে রাজনৈতিক ফাঁদে জড়াবেন না।’’ মামলাকারী সন্দীপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। জেল থেকেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের আর্জি জানিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসেই তার শুনানি হয়। হিন্দু সেনা নামে একটি সংগঠনের সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তের দায়ের করা এই বিষয়ে এক জনস্বার্থ মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘তিনি (অরবিন্দ কেজরীওয়াল) মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কি না, সেটা তাঁর বিষয়। গণতন্ত্রকে নিজের পথে চলতে দিন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement