দিল্লির তিহাড় জেল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লি থেকে সরানো হতে পারে তিহাড় জেল। মঙ্গলবার বিধানসভায় বাজেট পেশের সময় সেই পরিকল্পনার কথাই জানান মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত। তিনি আরও জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে তিহাড় জেল সরাতে প্রাথমিক ব্যবস্থাপনার জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সমীক্ষা, পরামর্শের কাজে এই টাকা ব্যয় করা হবে। তিহাড় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলে যত জন বন্দি থাকতে পারেন, এখন তার প্রায় দ্বিগুণ বন্দি রয়েছেন। এর ফলে বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সে কারণে দিল্লির উপকণ্ঠে তিহাড় সরানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
দেশের অন্যতম বৃহত্তম সংশোধনাগার তিহাড় ১৯৫৮ সালে তৈরি হয়েছিল। প্রায় ৪০০ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে এটি। দিল্লির রোহিণীতে রয়েছে একটি কারাগার এবং মাণ্ডোলিতে রয়েছে ছ’টি। এই সংশোধনাগারে থাকতে পারেন ১০,০২৫ জন বন্দি। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন সেখানে রয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার বন্দি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা মঙ্গলবার বিধানসভায় জানিয়েছেন, বন্দিদের কল্যাণের কথা ভেবে জেলের ভিড় কিছুটা কমাতে নতুন জায়গায় স্থানান্তরের কথা ভাবা হচ্ছে। নারেলায় সংশোধনাগারের নতুন ভবন তৈরি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
তিহাড়ের একটি সূত্রে জানিয়েছে, বাপরোলাতেও জেল তৈরির জন্য জমি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমি মেলেনি। তিহাড়ের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এর পরে দিল্লি সরকারের কাছে চিঠি লিখে অন্য কোথাও ১০০ একর জমি চাওয়া হয়েছিল।’’ সেই জমি দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে নতুন বিজেপি সরকার। তিহাড়ের একটি সূত্রের দাবি, সেখানে ১ থেকে ৯ নম্বর জেলে পাঁচ হাজার বন্দি থাকার কথা। কিন্তু সেখানে রয়েছেন ১২ হাজার জন। ১০ থেকে ১৬ নম্বর জেলে ৩,৭০০ জন বন্দিকে রাখার কথা। সেখানে এখন রয়েছেন ৩,৯০০ জন। তিহাড়ের ৪ নম্বর জেল এবং মাণ্ডোলিক ১২ নম্বর জেলে প্রথম বার অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন, এমন বন্দিদের রাখা হয়। সেগুলি ‘মুলাইজা জেল’ বলে পরিচিত। সেখানেও বন্দির সংখ্যা অনেক বেশি। এই কথা ভেবেই সরানো হচ্ছে তিহাড়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা তিহাড়ের বন্দিদের পুনর্বাসন, বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণের কথাও ঘোষণা করেছেন বাজেট বক্তৃতায়।