কেমন আছেন: হাসপাতালে জখম দমকলকর্মী রাজেশ শুক্লর (ডান দিকে) সঙ্গে দেখা করলেন দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। টুইটার
আনাজ মান্ডির জতুগৃহে প্রথম ঢুকেছিলেন তিনিই। ১১ জনকে বাঁচিয়ে দিল্লি দমকলবাহিনীর রাজেশ শুক্ল এখন সবার চোখে ‘হিরো’। উদ্ধারকাজে গিয়ে তাঁর পা জখম হয়েছে। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রাজেশ। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। হর্ষ বর্ধন টুইটে লিখেছেন, ‘‘রাজেশ শুক্লকে সেলাম। নিজে আহত হয়েও পিছিয়ে যাননি। তিনি এবং অন্য দমকল কর্মীরা পিঠে করে বেশ কয়েক জনকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এনেছেন, সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’’
সত্যেন্দ্রও টুইটারে রাজেশের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘রাজেশ শুক্ল আসল নায়ক। আগুনের ভিতরে তিনি সবার আগে ঢুকে ১১ জনের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। পায়ে আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও শেষ অবধি নিজের কাজটা করে গিয়েছেন তিনি। সাহসী এই নায়ককে স্যালুট জানাই।’’
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজেশ বলেছেন, ‘‘জীবনে এখনও পর্যন্ত সাত হাজার ফোন পেয়েছি আগুন নেভানোর জন্য। করোল বাগের হোটেল অর্পিত প্যালেস এবং সম্প্রতি এইমস হাসপাতালের আগুন নেভাতে গিয়েছি। কিন্তু মৃতের সংখ্যার দিক থেকে আজকের আগুন সবচেয়ে মারাত্মক।’’ অন্য দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে অত জন আটকে রয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে বুঝতেই পারেননি তাঁরা। ঘিঞ্জি ওই এলাকায় কালো ধোঁয়া আর আগুন ঠেলে তাঁরা যখন দোতলার আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন, তখন তিন তলা থেকে শুনতে পেয়েছেন, কে যেন ফোন করছে উপর থেকে। রাজেশ বলছেন, ‘‘শুনে ভেবেছিলাম উপরে আরও এক জন আটকে রয়েছে। উদ্ধার করতে গিয়ে দেখি, ঘরে বেশ কয়েক জন লোক।’’ রাজেশ জানিয়েছেন, তিনি যাঁদের উদ্ধার করেছেন, তাঁদের তখনও জ্ঞান ছিল। কিন্তু পরের বার তিনি যখন আবার ওই বাড়িতে ঢুকতে যান, আগুনের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাঁর নিজের অক্সিজেন সিলিন্ডারেও তখন টান পড়েছে। আরও দমকলকর্মী পাঠানো হয় তখন।
আরও পড়ুন: উপহার সিনেমা হলের স্মৃতি ফিরল দিল্লিতে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু