আবারও ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন কবিতা। ফাইল চিত্র।
প্রথম দফায় প্রায় ৯ ঘণ্টা জেরা করেছিল ইডি। তারপর আবারও সমন পাঠানো হলেও দিল্লির ইডি অফিসে সশরীরে হাজিরা দেননি কে কবিতা। সোমবার অবশ্য হাজিরা দিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা না দেওয়ায়, তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে সোমবার হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। সেই মতো সোমবার সকালেই ইডি দফতরে পৌছলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর কন্যা।
কবিতার দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির সাংসদ রাজনাথ রেড্ডি অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন যে, সোমবার ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে ইডি দফতরে যাবেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার তদন্তকারীদের মুখোমুখি না হওয়ার কারণ হিসাবে কবিতা জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে মামলা চলছে। তাই শীর্ষ আদালতের রায় না শুনে তদন্তকারী সংস্থার এই বিষয়ে নতুন কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয়। নিজে না গিয়ে দলীয় প্রতিনিধিকে ইডি অফিসে পাঠিয়েছিলেন কবিতা। তবে কবিতার এই ভূমিকায় ‘সম্তুষ্ট’ হতে পারেনি ইডি।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই কবিতাকে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। গত ১১ মার্চ তাঁকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মণীশ সিসৌদিয়া গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতার হয়েছেন আরও ১১ জন অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, কবিতার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাইয়ের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করতে চাইছেন ইডি আধিকারিকেরা। কিছু দিন আগেই ইডি বর্ণিত ‘দক্ষিণ লবি’র অন্যতম অরুণ গ্রেফতার হন। কবিতা এবং অরুণকে মুখোমুখি জেরা করা হলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যদিও একে রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীদের ভয় পাওয়ানোর কৌশলের সঙ্গে যুক্ত করেছেন কেসিআর-কন্যা।
ইডির সমন জারির বিরুদ্ধে আগেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কবিতা। আগামী শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং পিএস নরসিমহার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কবিতা তাঁর দল বিআরএসের সাধারণ সম্পাদক সোমা ভারতকে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে ইডি অফিসে পাঠান। সোমা গিয়ে কবিতার অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে কিছু নথি তুলে দিয়ে আসেন ইডি আধিকারিকদের হাতে।