Organic Farming

চাকরি ছেড়ে চাষি হয়ে দিনে ৪০ হাজার টাকা আয় করছেন দিল্লির এই ইঞ্জিনিয়ার

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে পাওয়া চাকরি ছেড়ে চাষ করে তিনি কত আয় করছেন জানেন? দিনে তাঁর আয় ৪০ হাজার টাকা!

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:৪৩
Share:
০১ ১০

সাধারণত চাষি বলতে যে ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে, টি-শার্ট, ট্রাউজার আর স্নিকার পরা যে যুবককে দেখছেন, তাঁকে মোটেই চাষির আওতায় ফেলা যায় না। কিন্তু বাস্তবে তিনি চাষিই। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে পাওয়া চাকরি ছেড়ে চাষ করে তিনি কত আয় করছেন জানেন? দিনে তাঁর আয় ৪০ হাজার টাকা!

০২ ১০

দিল্লির পাল্লা গ্রামে জন্ম অভিষেক ধাম্মার। তাঁর বাবাও চাষি। পারিবারিক ২৫ একর জমিতে তিনি চাষ করতেন। কিন্তু অভিষেকের স্বপ্ন অন্য ছিল। ছোট থেকেই তিনি চাষবাসের বিরোধী ছিলেন।

Advertisement
০৩ ১০

২০১৪ সালে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। অভিষেকের বাড়িতে চাষবাসের চল রয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাষ! একেবারেই পছন্দ ছিল না তাঁর। তাঁর কাছে চাষাবাদের অর্থ ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টার মাঠে রোদের মধ্যে পরিশ্রমের কাজ। এবং প্রচুর পরিশ্রমের বিনিময়ে যৎসামান্য কিছু অর্থ। কখনও তা আবার বিনিয়োগের থেকেও কম হতে পারে।

০৪ ১০

বাবার কৃষিকাজে কোনও সাহায্যই করবেন না, তা প্রথম থেকেই পরিবারকে ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক। নিজের চাকরি এবং ভবিষ্যত্ নিয়ে সমস্ত পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলেন।

০৫ ১০

কী এমন ঘটল যে অভিষেক চাষাবাদে কৌতূহলী হয়ে পড়লেন? এবং একজন চাষি হয়ে গেলেন? এর সূত্রপাত ২০১৪ সালে, স্নাতক হওয়ার ঠিক পড়েই।

০৬ ১০

চিরকালই নিজের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে ভীষণ সচেতন অভিষেক জিম শুরু করার পর ক্রমে বুঝতে শুরু করেন, সুস্থ থাকার জন্য সঠিক পুষ্টির কতটা প্রয়োজন। তাঁর ডায়েট কী ভাবে স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করে দেন। খাবারে কীটনাশকের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক এড়ানোর জন্য প্রথমে একটা ছোট বাগান করেন।

০৭ ১০

যমুনা নদীর তীরে তাঁদের ছোট একটা জমি ছিল। ঠাকুরদা সেখামে মন্দির করে দিয়েছিলেন। নদীর তীরে হওয়ায় জমির উর্বরতাও খুব বেশি ছিল। নিজেদের চাষাবাদের বিশাল জমির দিকে না গিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এই জমিতেই নিজের জন্য জৈব চাষ করতে শুরু করে দেন। কারণ সঠিক প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা ছাড়া পারিবারিক ২৫ একর জমিতে জৈব চাষে ভরসা পারছিলেন না তিনি।

০৮ ১০

এক বছর পর যে ফলন তিনি পেলেন, তার সঙ্গে স্বাদে, রঙে বাজারে বিক্রি হওয়া ফসলের বিস্তর ফারাক নিজের চোখেই দেখতে পেলেন। সঙ্গে জৈব চাষের অভিজ্ঞতাও হল। এর পর তিনি পারিবারিক ২৫ একর জমিতে জৈব চাষ করা শুরু করলেন। বাড়িতে জৈব সার বানিয়ে ফসল ফলানো শুরু হল।

০৯ ১০

রোজ ১৫-২০ মিনিট মাত্র লাগে গাছে জল দিতে তাঁর। সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিকে ফসল ফলিয়ে যাচ্ছেন এই ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। জমিতে বায়োগ্যাস প্ল্যান্টও লাগিয়েছেন। জমির সমস্ত বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করেন এবং সেই গ্যাসেই বাড়িতে রান্না হয়। ইঞ্জিনিয়ার থেকে চাষি হয়ে কতটা সুফল পেলেন?

১০ ১০

স্বাস্থ্য আর অর্থ দুটোই এক সঙ্গে পেয়েছেন অভিষেক। প্রতি দিন এখন ৪০ হাজার টাকা উপার্জন তাঁর। এত দিন যে পেশাকে এড়িয়ে চলতেন, এখন সেটাই তাঁর কাছে গর্বের, জানাচ্ছেন অভিষেক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement