কেজরীকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর। ছবি: পিটিআই
প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিকে ধরাশায়ী করে তৃতীয় বারের জন্য দিল্লি জয় করেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিবাসীর প্রত্যাশা পূরণে কেজরীবালকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল সামনে আসার পরই টুইটারে কেজরীবালকে অভিনন্দন জানান মোদী। তিনি লেখেন, ‘‘দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আপ এবং কেজরীবালজিকে অভিনন্দন। দিল্লিবাসীর আকাঙ্খা পূরণের জন্য ওঁদের শুভেচ্ছা জানাই।’’
এই শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে পাল্টা মোদীর উদ্দেশে টুইট করেন কেজরীবালও। তিনি লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ স্যর। রাজধানীকে বিশ্বমানের নগরে পরিণত করতে কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি আমি।’’
মোদী ও কেজরীবালের কথোপকথন।
দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পরে, এ দিন বিকেলে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা শুভেচ্ছা জানান ভাবী মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, জনাদেশ মাথায় নিয়েই আগামী দিনগুলোয় কাজ করবে দল।
এ দিন বিকেলে বিজেপি সভাপতি টুইটারে লেখেন, ‘‘বিজেপি এই ফল মেনে নিয়েই আগামী দিনে এগোবে। উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি বিষয়ে নজর থাকবে। বিরোধী হিসেবে আমরা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করব।’’ কেজরীবালকে ওই টুইটেই অভিনন্দনও জানান নড্ডা।
জেপি নড্ডার টুইট:
মঙ্গলবার সকালে গণনা শুরুর আগেও এই ফল অনুমান করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। দিনের শুরুতেই বুথফেরত সমীক্ষার ফলকে নস্যাৎ করে দিয়ে বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি বলেন, আমরা ৪৮এর বেশি আসন পাব। বিকেলে ৩৬০ ডিগ্রি বদলে গেল তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ।
আরও পড়ুন:নতুন রাজনীতি শুরু হল দিল্লিতে, জয়ের পর বার্তা কেজরীবালের
আরও পড়ুন:আপের দিল্লি জয়ের ১৬টি কারণ, এক নজরে
সংবাদমাধ্যমকে মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘মতদানের জন্যে ধন্যবাদ। কার্যকর্তার ভোটের অনেক আগে থেকে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। এই জনাদেশ শিরোধার্য। আমার আশা, দিল্লির মানুষের চাহিদা পূরণ করবে নতুন সরকার।’’ ভরাডুবি নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মনোজ। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা হয়তো সাতটি আসন পাব। এই ধরনের ব্যর্থতা হতাশা আনে। তবে আমি আমাদের সমর্থকদের বলব, নিরাশ হবেন না। মানুষের মতকে স্বীকার করে নিতে হবে। এবার আমাদের ভোট শতাংশ এবং আসন সংখ্যা দুইই বেড়েছে।’’
বিজেপির ভোট আক্ষরিকই বেড়েছে। গতবার বিজেপির ভোট ছিল ৩২ শতাংশ। এবার প্রায় ৬ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে দল। আসন সংখ্যাও বাড়ছে তা নিশ্চিত। কিন্তু সরকার গঠনের স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, প্রথম থেকেই ভোটপ্রচারের জন্যে যে হাতিয়ারগুলি বেছে নিয়েছিল বিজেপি তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ জোগান, জল সরবরাহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরানো এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান— এই কয়েকটি কাজে আপ প্রশাসন উন্নতির যে প্রতিশ্রুতি তৈরি করেছেন তাইই ফল দিয়েছে।