এ ভাবেই তৈরি হচ্ছে ‘ওয়াইল্ডলাইফ করিডর’। ছবি: জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
যার পোশাকি নাম ‘ওয়াইল্ডলাইফ করিডর’। আদতে জঙ্গল চিরে চলে যাওয়া জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় বন্যপ্রাণীর মৃত্যু ঠেকাতে এক অভিনব ব্যবস্থা। এ বার দিল্লি-দেহরাদূন জাতীয় সড়কে ভারত তথা এশিয়ার দীর্ঘতম ‘ওয়াইল্ডলাইফ করিডর’ নির্মাণে উদ্যোগী হলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ক পেরোতে গিয়ে বন্যপ্রাণীদের গাড়ির চাকায় পিষে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বহু দিন ধরেই সরব বন্যপ্রাণপ্রেমীরা। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম থেকে দাক্ষিণাত্যের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘটনা এড়াতে কয়েক বছর আগে সক্রিয় হয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বন্যপ্রাণীদের সড়ক পারাপারের সুবিধা করে দিতে তৈরি হচ্ছে সেতু এবং সুড়ঙ্গ (আন্ডারপাস)। পাশাপাশি, বন্যপ্রাণীদের যাতায়াতের বিস্তীর্ণ এলাকাগুলির উপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘ওয়াইল্ডলাইফ করিডর’।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, দিল্লি-দেহরাদূন জাতীয় সড়কের উপর নির্মিত ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ‘ওয়াইল্ডলাইফ করিডর’ দেশ এবং উত্তরখণ্ডের রাজধানীতে যাতায়াতের সময়সীমা মাত্র আড়াই ঘণ্টায় নামিয়ে আনবে। এখন দিল্লি-দেহরাদূন যাতায়াতে সময় লাগে কমবেশি ছ’ঘণ্টা। সহারণপুর-শামলি-বাগপত-গাজিয়াবাদের মতো বড় শহর ছুঁয়ে যাওয়া এই জাতীয় সড়কের একটি অংশ গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের রাজাজি জাতীয় উদ্যানের উপর দিয়ে। বাঘ-হাতি-সহ নানা বন্যপ্রাণীর আশ্রয়স্থল রাজাজির আবাসিকদের বাঁচাতে ওই অংশের সড়কটির বড় অংশ কার্যত উড়ালপুলে পরিণত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকছে বন্যপ্রাণীদের যাতায়াতে সেতু এবং আন্ডারপাস। এর ফলে বন্যপ্রাণীরা নিরাপদেই তাদের বিচরণক্ষেত্রে থাকতে পারবে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি।