Jagdish Tytler

’৮৪-র শিখবিরোধী হিংসার একটি মামলায় কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের আগাম জামিন

১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর তিন জন শিখ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিকে খুন এবং দিল্লি পুল বঙ্গাসে একটি গুরুদ্বারে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। সেই মামলাতেই অন্যতম অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৩ ১৮:৩৮
Share:

কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলার। — ফাইল ছবি।

১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী হিংসার একটি মামলায় কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জগদীশ টাইটলারের আগাম জামিন মঞ্জুর করল দিল্লির একটি আদালত। তবে কিছু শর্তও রেখেছে আদালত।

Advertisement

দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বিচারক বিকাশ ধুল এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে টাইটলারের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। তবে শর্ত দেন, তিনি সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারবেন না, আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশও ছাড়তে পারবেন না কংগ্রেস নেতা। গত ২০ মে টাইটলারের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তার পরেই এসিএমএম আদালত টাইটলারের বিরুদ্ধে সমন জারি করে।

জানা গিয়েছে, পুল বঙ্গাস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত টাইটলার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর, ঠাকুর সিংহ, বাদল সিংহ এবং গুরুচরণ সিংহের মৃত্যু হয়। পুল বঙ্গাসে একটি গুরুদ্বারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত টাইটলার। সিবিআইয়ের দাবি, টাইটলার জনতাকে উত্তেজিত করে খুন এবং আগুন লাগানোয় প্ররোচিত করেছিলেন। সেই মামলাতেই গত ২০ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তাতেই শুক্রবার আগাম জামিন পেলেন টাইটলার।

Advertisement

১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারান দেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরই দেশের নানা প্রান্তে শিখ-নিধনের ঘটনা ঘটে। সরকারি মতে এই দাঙ্গায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু দিল্লিতেই প্রাণ হারান প্রায় দু’হাজার মানুষ। যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন শিখ। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রথম ইউপিএ মন্ত্রিসভায় টাইটলারকে রাখা হলেও বিতর্ক এবং সমালোচনার জেরে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। বিরোধী দলগুলির আক্রমণে টাইটলারকে নিয়ে বহু বার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement