Karti Chidambaram

সিবিআই, ইডির আর্জি খারিজ, চিদম্বরম-পুত্র কার্তিকে বিদেশ যাত্রার অনুমতি দিল আদালত

ইউপিএ জমানায় নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থা এবং তার মালিক পিটার মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করার অভিযোগ রয়েছে কার্তির বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৩ ১৬:২৫
Share:

পি চিদম্বরম এবং কার্তি চিদম্বরম। — ফাইল চিত্র।

আইএনএক্স এবং এয়ারসেল ম্যাক্সিস-সহ চারটি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরমকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিল দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত। আগামী ১৫-২৭ সেপ্টেম্বর ফ্রান্স এবং ব্রিটেন সফরের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের পুত্র কার্তি। বিচারক এমকে নাগপাল সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

Advertisement

আদালতকে কার্তি জানিয়েছিলেন, আগামী ১৮-২৪ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সে ‘সেন্ট ট্রোপেজ ওপেন’ নামে একটি এটিপি আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্টে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখান থেকে ব্রিটেনে নিজের কন্যাকে দেখতে যাবেন বলেও আদালতকে জানান তিনি। দুর্নীতি মামলাগুলির তদন্তকারী দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদকে বিদেশযাত্রার অনুমতি না-দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু বিচারক নাগপাল তা অগ্রাহ্য করেন।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক টেনিস প্রতিযোগিতার জন্য ২০১৯ সালে আমেরিকা, জার্মানি ও স্পেনে যেতে শীর্ষ আদালতের অনুমতি চেয়েছিলেন কার্তি। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ ১০ কোটি টাকা জমা রাখার শর্তে বিদেশযাত্রার অনুমতি দিয়েছিল তাঁকে। আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় কয়েক মাস আগেই কার্তির ১১ কোটি চার লক্ষ টাকার সম্পত্তি লেনদেনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইডি। ইডির তরফে জানানো হয়েছে কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুর চারটি সম্পত্তি রয়েছে এই তালিকায়। বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাটির দাবি।

Advertisement

ইউপিএ জমানায় নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থা এবং তার মালিক পিটার মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করার অভিযোগ রয়েছে কার্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রক ওই সংস্থাকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। সেই সময় কার্তির বাবা পি চিদম্বরম ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই সুবাদেই প্রভাব খাটিয়ে কার্তি তাঁদের ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের অভিযোগ, বাবার মাধ্যমে বেআইনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কার্তি তিন কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালের অগস্টে এই মামলায় চিদম্বরমকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে ইডি-ও তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তার আগে ২০১৮ সালের মার্চে গ্রেফতার করা হয়েছিল কার্তিকেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement