ফাঁকা মাঠে তুলে নিয়ে গিয়ে যাওয়া তরুণীকে। ছবি: ভাইরাল ভিডিয়ো থেকে সংগৃহীত।
তরুণীকে অপহরণের পর জোর করে তাঁকে বিয়ে করেছেন এক যুবক। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়ার পর নড়েচড়ে বসল দিল্লি মহিলা কমিশন। অবিলম্বে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের পদক্ষেপ চেয়ে বিবৃতি দিলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। এর মধ্যে রাজস্থান পুলিশও মেনে নিয়েছে, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে জয়সলমেরে।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়ো নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে রাজস্থানে। কয়েক সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে দেখা যায় এক তরুণীকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন এক যুবক। তার পর আগুন জ্বেলে তার চার পাশে ঘুরছেন তিনি। বিয়েতে যেমন সাত পাকে ঘোরা হয় তেমন করে তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন তিনি। আর সেই সময় তরুণীকে কাঁদতে দেখা যায়। ভিডিয়ো দেখে অনুমান করা হচ্ছে, মেয়েটিকে জোর করে বিয়ে করছেন অভিযুক্ত। ওই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন যুবকের কয়েক জন পরিচিত।সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটি রাজস্থানের জয়সলমেরের বলে দাবি করেছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী। তিনি টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম থেকে বলা হচ্ছে এই ভিডিয়োটি জয়সেলমেরের। খবরে বলা হচ্ছে, ওই তরুণীকে জনবহুল এলাকা থেকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে। বন্ধ্যা জমিতে আগুন জ্বালিয়ে ‘ফেরা’ নেওয়া হয়েছে। এটা ভয়ঙ্কর ঘটনা।’’ এর পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে টুইটে ট্যাগ করে এই ঘটনায় তদন্ত এবং যথাযথ পদক্ষেপ করতে আবেদন করেন স্বাতী।
টুইটের অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে জয়সেলমের পুলিশ। তারা জানায় ঘটনাটি সত্যি। গত ১ জুনের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই কাজে জড়িত অন্যদেরও খোঁজ চলছে।
২০২১ সালের এনসিআরবি-র তথ্য অনুযায়ী, ওই এক বছরে সারা দেশে জোর করে বিয়ের সংখ্যাটা প্রায় ২৮ হাজার। এর মধ্যে অধিকাংশই নাবালিকা এবং বেশির ভাগ ঘটনাই গ্রামাঞ্চলের।