তাঁকে ৫৬টি প্রশ্ন করা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি টুইটার।
দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় রবিবার আম আদমি পার্টির প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বেরোন কেজরী। কালো রঙের এসইউভিতে চড়ে সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে পৌঁছেছিলেন তিনি।
সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে দিল্লিতে নিজের বাড়িতে পৌঁছনোর পর সাংবাদিক বৈঠকে কেজরী বলেন, ‘‘সততার সঙ্গে কোনও আপস করব না। গোটা দেশ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমায় ৫৬টি প্রশ্ন করা হয়েছিল। ২০২০ সাল থেকে উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। সিবিআই আমার সঙ্গে সম্মানজনক ব্যবহার করেছে।’’
আবগারি দুর্নীতি প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আবগারি দুর্নীতি নিয়ে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। এটা পুরোটাই বানানো দুর্নীতি। আমরা সৎ দল। নোংরা রাজনীতি এটা।’’ সম্প্রতি জাতীয় দলের তকমা পেয়েছে আপ। তার পরই আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীওয়ালকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে। সেদিনও ছিল রবিবার। আর রবিবারই কেজরীকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন আপ নেতারা। কেজরীকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন তাঁরা। বিজেপি চাইলে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন কেজরী। তবে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়নি। রবিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অবশেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন কেজরী।
কেজরীকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে সরগরম ছিল দিল্লি। সিবিআই দফতরের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। জিজ্ঞাসাবাদের বিরোধিতা করে রবিবার মধ্য দিল্লির লোধি রোডের কাছে সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন রাঘব চাড্ডা, সঞ্জয় সিংহ-সহ আপ নেতারা। তাঁদের আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।