আশরফ এবং আতিক। শনিবার গুলি করে খুন করা হয়েছে তাঁদের। ছবি: সংগৃহীত।
আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফকে খুন করতে ব্যবহার করা হয়েছিল বিদেশি পিস্তল। পুলিশ সূত্রে খবর, যে পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয়েছিল, সেটি ‘জিগানা’। তুরস্ক সংস্থার তৈরি। শুধু তাই-ই নয়, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রে়ঞ্জ থেকে আতিক-আশরফের মাথায় গুলি চালানোর পরেও মোট এক ডজনেরও বেশি রাউন্ড গুলি চালান আততায়ীরা। আর গোটা ‘অপারেশন’টি শেষ হয় মাত্র ২২ সেকেন্ডে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার আগে হাসপাতালে রেকি করে গিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। দু’দিন ধরে প্রয়াগরাজের একটি হোটেলেও ছিলেন। তার পর খবর পান আতিক-আশরফকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। তার পরই হাসপাতালে রেকি করেন সানি, লবলেশরা। আতিক-আশরফকে খুনের পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্তরা।
যে এফআইআর করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, যে সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আতিক, সেই সময় শুটারদের মধ্যে এক জন তাঁর হাতে ধরা বুম এবং ক্যামেরা ফেলে দেন, তার পরই পিল্তল বার করে পর পর গুলি চালান। এই হামলায় এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। অভিযুক্তদের মধ্যেও আহত হয়েছেন এক জন। তার পরই অভিযুক্তরা হাত থেকে পিস্তল ফেলে দেন। আত্মসমর্পণ করেন। এই ঘটনায় কয়েক জন সাংবাদিকও সামান্য চোট পেয়েচেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।