কর্মসংস্থান নিয়ে কেজরীওয়াল সরকারের দাবি অবশ্য মানতে নারাজ বিরোধী বিজেপি এবং কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বাস্তবের সঙ্গে সরকারের দেওয়া তথ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
অর্থ-নীতি: বাজেট পেশ করতে বিধানসভা চত্বরে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। শনিবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই
আগামী পাঁচ বছরে ধাপে ধাপে ২০ লক্ষ চাকরি। নৈশকালীন অর্থনীতির বিকাশ এবং ইলেকট্রনিক সিটি। রোজগারের নয়া দিগন্ত খুলে দিতে শনিবার ‘রোজগার বাজেট’ পেশ করলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘এই বাজেট দিল্লির অর্থনীতিকে উন্নতির পথে এগিয়ে দেবে এবং লক্ষ লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি করবে।’’
শনিবার সব মিলিয়ে ৭৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন মণীশ, যা কি না গত অর্থবর্ষের তুলনায় ৯.৮৬ শতাংশ বেশি। অর্থমন্ত্রীর কথায়, ‘করোনার ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দিল্লির অর্থনীতি। এটা তারই প্রতিফলন।’
তবে শনিবারের বাজেটে সবচেয়ে বড় চমক পাঁচ বছরে ২০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি। আম আদমি পার্টির তরফে বলা হচ্ছে, দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিজেদের সব প্রতিশ্রুতিই পালন করেছে দল। এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে মূল দু’টি সমস্যা হল মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব। সে কারণে চলতি বাজেটে বেকারদের সমস্যা সামাল দিতে তাদের কর্মসংস্থানের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মূল্য়বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেও একাধিক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে বাজেটে।
বাজেটের তুমুল প্রশংসা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘দিল্লির জন্য ‘রোজগার বাজেট’ পেশ করায় উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া দিয়াকে অনেক অভিনন্দন। তরুণ প্রজন্মের জন্য অনেক কাজের সুযোগ করে দেবে এই বাজেট। দিল্লির প্রতিটি অংশের মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই বাজেট তৈরি হয়েছে।’’
কেজরীওয়ালের দাবি, তাঁর সরকারের বিগত ৭ বছরে ১২ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী ৫ বছরে আরও ২০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে এই বাজেটে। পাশাপাশি তিনি জানান, চলতি বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ৯৬৬৯ কোটি টাকা এবং শিক্ষায় ১৬২৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সিসৌদিয়া জানান, পরবর্তী পাঁচ বছরে ২০ লক্ষ চাকরির সুযোগ তৈরি করার জন্য বাজেটে ৪৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আরও ৮০০ কোটি টাকা এই খাতে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
কর্মসংস্থান নিয়ে কেজরীওয়াল সরকারের দাবি অবশ্য মানতে নারাজ বিরোধী বিজেপি এবং কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বাস্তবের সঙ্গে সরকারের দেওয়া তথ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।