ফাইল চিত্র।
বাল্মিকী মন্দির থেকে হনুমান মন্দির। এক ‘মেগা রোড-শো’ করে আগামিকাল মনোনয়ন পেশ করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু নয়াদিল্লি আসনে তাঁর বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা আজ রাত পর্যন্তও ঘোষণা করল না নরেন্দ্র মোদী ও সনিয়া গাঁধীর দল। অথচ আর এক দিন পরেই মনোনয়ন পেশের শেষ দিন।
নিজের মনোনয়ন পেশের আগে কেজরীবাল অবশ্য আজ এক সাংবাদিক বৈঠক করলেন। সেখানে ঘোষণা করলেন, ফের জিতে এলে কোন দশটি বিষয় তিনি পাকাপাকি করবেন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ, সস্তায় বিদ্যুৎ দেওয়া, বিশুদ্ধ পানীয় জল, দিল্লিতে জন্মালে স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষার দায় বহন, বিনা মূল্যে চিকিৎসা, যমুনার জল পরিষ্কার করা, দূষণ রুখতে ২ কোটি গাছ লাগানো, মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ‘মহল্লা মার্শাল’, সিসিটিভি, রাস্তায় আলো লাগানো ইত্যাদি রয়েছে। কেজরীবাল স্পষ্ট জানান, আগামী পাঁচ বছরে ধাপে ধাপে এই সব প্রতিশ্রুতি পালন করা হবে। ৭-১০ দিন পরে আপের একটি ইস্তাহার প্রকাশ হবে।
প্রশ্ন হল, ইস্তাহারের আগে কেন কেজরীবালকে দশটি বিষয় ঘোষণা করতে হল? দলের নেতাদের মতে, ক’দিন আগে বিরোধীরা দিল্লি সরকারের এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেখিয়েছিল চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্তই যাবতীয় সুবিধে বহাল থাকবে। আজ কেজরীবাল স্পষ্ট করে দিলেন, সব সুবিধে বহাল থাকবে আগামী পাঁচ বছর। আর কেজরীবাল ফিরলেই সেটি সম্ভব। বিজেপি বা কংগ্রেস, কেউই কেজরীর কাজের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না। তাই তারা ভোটে প্রচারের বিষয় হাতড়ে বেড়াচ্ছে। বিজেপি মেরুকরণের তাস খেলছে। এখনও পর্যন্ত হারের ভয়ে কেজরীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারলেন না বিরোধীরা।
বিজেপি অবশ্য আজ দলের মহিলা নেত্রীদের সামনে এনে ইন্দিরা জয়সিংহের সঙ্গে আপের যোগসূত্রের দাবি করল। গত কালই প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ নির্ভয়ার ধর্ষকদের ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন করেন। যদিও নির্ভয়ার বাবা-মা তা খারিজ করে দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, ইন্দিরা আসলে আপেরই আইনজীবী। আদালতে আপের হয়েই লড়েছেন। এমনকি ইন্দিরার বাড়িতে হানার সময়ে কেজরীবালই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কেজরীর দল প্রশ্ন তুলেছে, এ ভাবে হাতড়ে কি ভোটে জিততে পারবে বিজেপি? বিজেপি নেতারা অবশ্য বলছেন, কেজরীকে টক্কর দেওয়ার জন্য ওজনদার প্রার্থী আসবেন। ‘চমক’ দেবেন অমিত শাহ।