দিল্লিতে ভোট-প্রচারে রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ছবি: পিটিআই
চাকরি না পেলে দেশের যুবসমাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘লাঠিপেটা করবে’ বলে মন্তব্য করলেন রাহুল গাঁধী। দিল্লিতে ভোটের প্রচারে নেমে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি আজ মোদীর পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরীবালকেও তীক্ষ্ম ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
দেশের বেকারির কথা তুলে একটি জনসভায় রাহুল বলেন, ‘‘মোদী অনেক ভাষণ দিচ্ছেন। আমি বলছি, ছয় কিংবা সাত-আট মাস কেটে যাক, মোদী ঘর থেকে বেরোতে পারবেন না। দেশের যুবকেরা তাঁকে এমন ভাবে লাঠিপেটা করবেন যে উনি সবকিছু বুঝে যাবেন। বুঝবেন, রোজগারের ব্যবস্থা করা ছাড়া দেশ এগোতে পারে না।’’ কেজরীবালকেও নিশানা করে তাঁর অভিযোগ, যুবসমাজের ভবিষ্যতের দিকে এই দু’জনেরই নজর নেই। বরং তাঁদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা দখল করতে ব্যস্ত এই নেতারা। সদ্য পেশ হওয়া দেশের বাজেটেও চাকরি সৃষ্টির কোনও দিশা নেই বলে দাবি কংগ্রেস নেতার।
দিল্লির কোন্ডলির সভায় রাহুল দাবি করেন, বিজেপি ও আপের মতো দলগুলি দেশপ্রেমের নাম করে ঘৃণা আর হিংসা ছড়াতেই ব্যস্ত। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ বছরে ভারতের পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। শান্তির পরিবেশ আর নেই। অনেকে বলবেন, এ সবই মোদী ও সঙ্ঘের জন্য। কিন্তু সবথেকে বড় কারণ হল, যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে না। বেকারি নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত। যুব সমাজ রাস্তা দেখতে না পেলে রেগে যাবেই। আর সেই ক্ষোভকে ভুল পথে ব্যবহার করছেন মোদী ও কেজরীবাল।’’
দেশপ্রেম নিয়ে মোদী ও কেজরীবালের ‘শিক্ষা’ দেওয়াকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘‘মানুষের এ সবের প্রয়োজন নেই। কারণ, ভারতের নাগরিকেরা সকলেই দেশপ্রমিক।’’ তাঁর দাবি, অতীতে গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা ভারতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু ভারতে হিংসার বাতাবরণ নিয়ে এখন তাঁরাই প্রশ্ন তুলছেন। এই দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না তাঁরা।
রাতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার সঙ্গে যৌথ সভা ছিল রাহুলের।