মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরেই ভেঙে গিয়েছিল এসপি-বিএসপি জোট। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, তার পর থেকে কার্যত বিজেপির ‘বি টিম’ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। সিবিআইকে দিয়ে মায়াবতীর পরিবারের উপর যে চাপ তৈরি করেছে শাসক দল, তাতে বিরোধিতা চালিয়ে যাওয়ার সাহসই দেখাতে পারেননি মায়া। বরং সব বিষয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার পথেই হাঁটছেন। দিল্লির আসন্ন নির্বাচনেও ৭০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে মায়া বিজেপির হয়ে বিরোধী ভোট কাটার কৌশল নিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে নিজেরা প্রার্থী দিয়ে গোহারা হারার পরেও দিল্লিতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন না মায়া। দলের তরফ থেকে প্রকাশ্যে বলা হচ্ছে, দিল্লিতে একটি বড় সংখ্যক দলিত ভোটার রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা মানুষও রয়েছেন। তাদের মধ্যে মায়াবতীর প্রভাব রয়েছে। ২০১৫ সালের দিল্লি ভোটেও ৭০টি আসনে লড়ে ৬৯টি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বিএসপি-র! মোট ভোটের ১.৩ শতাংশ মাত্র পেয়েছিল তারা। এ বারে মায়াবতীর একলার লড়াইকে আরও লঘু করে দিতে চলেছে ভীম সেনা। দলিত এবং মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলের ১৫টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন দলের নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ। ফলে কুড়িয়ে বাড়িয়ে যে টুকু ভোট মায়াবতীর ঝুলিতে আসত, তাতেও থাবা বসাবেন চন্দ্রশেখর।
মায়ার প্রাক্তন জোটসঙ্গী এসপি কিন্তু আপকে সমর্থন করছে। এসপি চেষ্টা করবে, বিজেপি-বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয়। বিএসপি-র ভূমিকাকে কটাক্ষ করে দলের এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতার দাবি, ‘‘এসপি কখনওই মায়াবতীর মতো বিরোধী ভোট কাটার চেষ্টা করে না। দল মনে করছে, এই ভোটে কেজরীবালের দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’’