জয়ের পর দিল্লিতে কেজরীবাল।
শাহিন বাগ নিয়ে বিজেপিকে জবাব দিতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে সামলে নিয়েছিলেন নিজেদের। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর সে পথ মাড়ালেন না অরবিন্দ কেজরীবাল। মঙ্গলবার বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর একবারও প্রতিপক্ষ বিজেপির নাম শোনা গেল না তাঁর মুখে। বরং কাজ দেখেই মানুষ তাদের ভোট দিয়েছেন, বার বার এমনটাই বলতে শোনা গেল তাঁকে।
এ দিন ভোটগণনা শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আম আদমি পার্টির (আপ) জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বেলা যত বাড়তে থাকে বিজেপির সঙ্গে জয়ের ব্যবধানও ততই চওড়া হতে থাকে। বিকাল ৪টের মধ্যে আপের আসন সংখ্যা যেখানে ৬৩-তে গিয়ে ঠেকে। সেখানে কমতে কমতে বিজেপির আসন সংখ্যা এসে ঠেকে সাতে।
তার পরই দিল্লিতে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বার্তা দিতে আসেন কেজরীবাল। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এই জয় মানুষের জয়। কাজে বিশ্বাস রেখে ভোট দিয়েছেন সকলে। নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনা করেছেন।’’
দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘তৃতীয় বার আম আদমি পার্টির উপর ভরসা রাখার জন্য দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ। যাঁরা আমাকে নিজের ছেলে বলে মনে করেন, যাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছেন, আজকের এই জয় তাঁদের জয়।’’
কেজরীবালের টুইট।
এর পর নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকেও দিল্লিবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন কেজরীবাল। তিনি লেখেন, ‘‘ছেলেকে এত ভালবাসা দেওয়ার জন্য মন থেকে দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। আজ নতুন ধরনের রাজনীতির জন্ম দিয়েছেন দিল্লির মানুষ, যা হল কাম কি রাজনীতি। এই জয় ভারত মাতার জয়। জয় হিন্দ।’’
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
জন্মদিনে এর চেয়ে বড় উপহার আর কখনও পাননি বলে এ দিন মন্তব্য করেন অরবিন্দ কেজরীবালের স্ত্রী সুনীতাও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘জন্মদিনে আমার কাছে এটাই সবচেয়ে বড় উপহার। সত্যের জয় হয়েছে। আমার মনে হয়, নানারকমের সমস্যা নিয়েই রাজনীতি হওয়া উচিত। কোথায় কেমন মন্তব্য করা উচিত, তা শেখা উচিত রাজনৈতিক দলগুলির।’’
• দিল্লির মানুষের উপর হনুমানজির আশীর্বাদ রয়েছে। পরবর্তী পাঁচ বছরেও হনুমানজিই রাস্তা দেখাবেন।
• যাঁরা আমাকে নিজের ছেলে মনে করেছেন, আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ।
• তৃতীয় বার আম আদমি পার্টির উপর ভরসা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
• দিল্লিতে নতুন রাজনীতির সূচনা হল। আজকের এই জয় তারই ইঙ্গিত।
• দারুণ কাজ করে দেখিয়েছেন দিল্লিবাসী। আপনাদের খুব ভালবাসি আমি।