দি্ল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। —ফাইল চিত্র
ভোটগ্রহণের শেষ হওয়ার প্রায় ২৫ ঘণ্টা পর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছে তা ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। রবিবার রাতে সন্ধ্যায় দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী অফিসার রণবীর সিংহ। তিনি বলেন, শনিবার দিল্লিতে ৬২.৫৯ শতাংশ ভোট পড়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় যা ২ শতাংশ বেশি।
ভোটের হার ঘোষণাই এই বিলম্ব নিয়ে এ দিনই নির্বাচন কমিশনকে এক হাত নেন অরবিন্দ কেজরীবাল। ‘নির্বাচন কমিশন করছেটা কী’— প্রশ্ন করেন দিল্লির মু্খ্যমন্ত্রী। কেজরীবালের দল আম আদমি পার্টি (আপ)-র পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এর মধ্যে চক্রান্তের অভিযোগও তোলা হয়।
শনিবারই দিল্লির ৭০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছ যায়। ভোটগ্রহণের নির্দিষ্ট সময় ছিল সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু তার পরেও বেশ কিছু বুথে রাত পর্যন্ত লাইনে ছিলেন ভোটাররা। সেই পর্বও মিটে যায় রাতেই। সাধারণত, ভোট গ্রহণের দিনই সন্ধের পর কত শতাংশ ভোট পড়েছে, সাংবাদিক বৈঠক করে তা জানানোই দস্তুর। কিন্তু দিল্লির ভোটের পরে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও সাংবাদিক বৈঠক হয়নি। কমিশনের ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপেও নির্দিষ্ট করে প্রদত্ত ভোটের হার জানানো হয়নি।
তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন আপ নেতৃত্ব। খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের টুইট, ‘‘পুরোপুরি ধাক্কা। নির্বাচন কমিশন করছেটা কী? ভোটের এত ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন এখনও তারা ভোটের হার জানাচ্ছে না।’’
আবার আপের নেতা সঞ্জয় সিংহ এর মধ্যে চক্রান্তের গন্ধ পান। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর বক্তব্য, ‘‘দিল্লিতে মাত্র ৭০টি বিধানসভা আসনের ভোট। বড় বড় রাজ্যের নির্বাচন, এমনকি, লোকসভা নির্বাচনেও ভোটগ্রহণের দিনই প্রদত্ত ভোটের চূড়ান্ত হার জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু দিল্লিতে ভোটের পরের দিনও সেটা জানাতে পারল না কমিশন। এর অর্থ, ভিতরে ভিতরে কোনও কিছু চলছে।’’
আরও পডু়ন: ‘এগজিট পোল একজ্যাক্ট নয়’, সমীক্ষার ফল উড়িয়ে দাবি বিজেপির
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিকের পথে কেজরীবাল, পূর্বাভাস দিল্লির সমীক্ষায়
ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর প্রদত্ত ভোটের হার সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন। আবার কমিশনের অ্যাপেও নিরন্তর আপডেট করা হয়। দিল্লির নির্বাচনে কমিশনের দেওয়া তথ্য এবং অ্যাপের প্রদত্ত ভোটের হার অধিকাংশ সময়েই মেলেনি। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আবার শনিবার রাতের দিকে কমিশনের দিল্লির মুখপাত্র শেফালি শরণ কমিশনের অ্যাপের একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন ১০টা ১৭ মিনিটে। তাতে দেখা যায় ভোট পড়েছে ৬১.৪৩ শতাংশ। কিন্তু মোট কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা জানাতে এত দেরি হওয়ায় কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে।