ভোট প্রচারে কেজরীবাল। ছবি: এএফপি।
তিন দিন পরে শাহিন বাগ কি হাসি ফোটাতে পারবে অমিত শাহের মুখে? শনিবার দিল্লি ভোটের আগে এবিপি নিউজ-সি ভোটারের শেষ জনমত সমীক্ষা বলছে, ‘না’। ২৬ জানুয়ারি থেকে গত কাল পর্যন্ত দিল্লির ৭০টি বিধানসভায় ১১,১৮৮ জন মানুষের মধ্যে করা সমীক্ষার ফল, ফের অনায়াসে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। গত ভোটের থেকে অবশ্য আসন বাড়বে বিজেপির। তবে কংগ্রেসের লাভ সামান্যই।
গত ভোটে আপ ৬৭ ও বিজেপি বাকি তিনটি আসন পেয়েছিল। শতকরা হিসেবেও আপ পেতে পারে ৪৫.৬ ভাগ ভোট। বিজেপি ৩৭.১ শতাংশ, কংগ্রেস ৪.৪ শতাংশ ও বাকি ১২.৯ শতাংশ।
অথচ কয়েক মাস আগে লোকসভা ভোটে দিল্লির ৭টি আসনই জিতেছিল বিজেপি। প্রচারে অমিত বলছেন, ‘‘কেজরীবাল এক বার ফাঁকতালে জিতে গিয়েছেন। বাকি সব ভোটে হেরেছেন।’’ কেজরীবাল বলছেন, ‘‘লোকসভায় নরেন্দ্র মোদী, বিধানসভায় কেজরীবালকে ভোট দেবে জনতা। ওড়িশাতেও এক সঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোট হয়েছে। মানুষ আলাদা ভাবে ভোট দিয়েছেন।’’
মোট আসন ৭০ আপ ৪২-৫৬ বিজেপি ১০-২৬ কংগ্রেস ০-৪ *এবিপি-সি-ভোটার-এর সমীক্ষা
তবে সমীক্ষার ব্যাপারে কেজরীবালের মত, ‘‘আপের আসন আরও বাড়বে। মানুষ আপকে জেতানোর মন তৈরি করে ফেলেছেন।’’ বিজেপির মীনাক্ষী লেখির অবশ্য দাবি, তাঁর দল ৪৫টি আসন পাবে। কিন্তু ঘরোয়া মহলে বিজেপি মানছে, হাওয়া কেজরীর পক্ষে। তবে যে ভাবে অমিত শাহ মাটি কামড়ে পড়ে আছেন, আড়াইশো সাংসদ, দেড়শো নেতা, সত্তর মন্ত্রীকে অলিতে-গলিতে নামিয়ে দিয়েছেন, তার ফল মিলবে। বিজেপি হারলেও সেটি ‘সম্মানজনক’ হবে।
কাল প্রচারের শেষ দিন। বিজেপির অনেকে বলছেন, কাল সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দু’টি বক্তৃতা আছে। একটি লোকসভা, অন্যটি রাজ্যসভায়। দিল্লি ভোটেও তার প্রভাব পড়বে। আর আজই লোকসভায় তিনি অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করেছেন। তবে সমীক্ষাটি তার আগে হওয়ায় এই ঘটনার প্রভাব তার ফলাফলে পড়েনি। কাল দিল্লিতে প্রচারে যাচ্ছেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তার কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে প্রশেন রয়েছে। কংগ্রেসের এক নেতার রসিকতা, ‘‘আমরাই এক মাত্র দল, যাদের হারের চিন্তা নেই, জয়ের আশাও নেই!’’