সেনা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে চিন সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। —ফাইল চিত্র
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা মোতায়েন ঘিরে ভারত-চিন বিবাদ ছিলই। সিকিম-অরুণাচলেও চিনা ড্রাগনদের আগ্রাসন বাড়ছে বলেও খবর রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানও। কোন সীমান্তে কী পরিস্থিতি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে খবর।
মে মাসের গোড়া থেকে গালওয়ান উপত্যকায় বিপুল সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছিল। তার জবাবে ভারতও একই ভাবে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন শুরু করে। তাতে দু’দেশের মধ্যে তৈরি হয় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি। নয়াদিল্লিতেও এ নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছিল সেই সময়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সিডিএস-সহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন।
তবে কয়েক দিনের মধ্যেই সুর নরম করে চিন। উত্তেজনা কিছুটা স্তিমিত হয়। তার পর শুরু হয়েছে দু’দেশের মধ্যে সেনা কমান্ডারদের পর্যায়ের বৈঠক। আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানে ঐক্যমত্য হয়েছে নয়াদিল্লি ও বেজিং। চিনের দাবি, এই আলোচনাপর্ব শুরু হতেই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও ভারতের দাবি পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং অরুণাচল ও সিকিম সীমান্তে চিনের আগ্রাসন আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে গুলি নেপাল পুলিশের, হত ভারতীয় কৃষক, আহত তিন
আরও পড়ুন: ‘এত নির্লজ্জ ভাবে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হল দেহ!’ ফের তোপ রাজ্যপালের
এমনই পরিস্থিতিতে সামগ্রিক ভাবে কোন সীমান্তে চিনা সেনার কী অবস্থান, তা নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন রাজনাথ সিংহ। পরিস্থিতি শান্ত করতে কোন পথে এগনো উচিত, তা নিয়েও তিন বাহিনীর প্রধান এবং সিডিএস-এর সঙ্গে আলোচনা করেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে।