রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এ বার মানহানির মামলা দায়ের করলেন আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবক। ফাইল চিত্র।
‘মোদী’ পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে ২ বছরের জেলের সাজা এবং এর জেরে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এ বার কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আরও একটি ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করা হল। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-কে ‘একবিংশ শতাব্দীর কৌরব’ বলে বর্ণনা করেছিলেন রাহুল। এই মন্তব্যের জেরে হরিদ্বার আদালতে সনিয়া-পুত্রের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
আরএসএস স্বেচ্ছাসেবক কমল ভাদোরিয়ার তরফে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী অরুণ ভাদোরিয়া। আগামী ১২ এপ্রিল মামলাটি আদালতে উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় আমরা মামলাটি দায়ের করেছি।’’
গত জানুয়ারি মাসে কুরুক্ষেত্রে রাহুলের একটি মন্তব্যের জন্যই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অরুণ। বলেছেন, ‘‘আরএসএসের সঙ্গে কৌরবদের তুলনা করেছেন উনি (রাহুল)। বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর কৌরবরা খাকি হাফপ্যান্ট পরে হাতে লাঠি নিয়ে শাখায় অংশ নেন...ভারতের ২-৩ জন কোটিপতি তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।’’
এর আগে, গত ১১ জানুয়ারি রাহুলকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন কমল। তবে কংগ্রেস নেতা সেই নোটিসের কোনও জবাব দেননি বলে দাবি করেছেন আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবক। যদিও এই মামলা প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুখ খোলেননি রাহুল।
মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে রাহুলকে ২ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে গুজরাতের সুরত জেলা আদালত। গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী অভিযোগটি জানিয়েছিলেন। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গত ২৩ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। যা নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি।
অন্য একটি মন্তব্যের জন্য আগামী ১২ এপ্রিল রাহুলকে হাজিরা দিতে বলেছে পটনার জনপ্রতিনিধিদের জন্য নির্দিষ্ট আদালত। ২০১৯ সালে বিহারের তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদী রাহুলের বিরুদ্ধে ‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে পটনার ওই বিশেষ আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন। কংগ্রেস নেতাকে আদালত ওই বছর ৬ জুলাই জামিনও দিয়েছিল। সেই মামলাতেই পুনরায় আদালত তাঁকে তলব করেছে।