প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
কৃত্রিম মেধার সাহায্যে বদলে দেওয়া হচ্ছে কারও শরীর তো কারও মুখ। এক জনের শরীর অন্যের মুখ বসিয়ে ডিপফেক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে ভুয়ো ভিডিয়ো। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে শালীনতার মাত্রা। সম্প্রতি বলিউডের তিন অভিনেত্রী এই প্রযুক্তির শিকার হয়েছেন। এ বার ডিপফেক নিয়ে উদ্বিগ্ন শোনাল দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। শুক্রবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে ডিপফেক ভিডিয়ো ‘বড় উদ্বেগের বিষয়’ বলে মন্তব্য করেছেন মোদী।
শুক্রবারই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী কাজলের একটি ডিপফেক ভিডিয়ো। তাতে কাজলকে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরার সামনে পোশাক পরিবর্তন করতে। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ভিডিয়োটি ফেক বা জাল ভিডিয়ো বলে দাবি করেন অনেকেই। এর পরই ইন্টারনেটের ফ্যাক্টচেকিং সংস্থাগুলি ওই ভিডিয়ো পরীক্ষা করে জানায়, ভিডিয়োটি আসলে একজন টিক টক তারকার। টিকটকে তিনি পোশাক পরার ভিডিয়ো পোস্ট করেন প্রায়শই। তেমনই একটি ভিডিয়োর কাজলের মুখ জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
কিছু দিন আগে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ এবং রশ্মিকা মান্দানার সঙ্গেও। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত বলে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। শুক্রবার উদ্বেগের কথা জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীও।
দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আয়োজিত দিওয়ালি মিলন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন মোদী। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিপফেক ভিডিয়ো নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান প্রধামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের হাতে এখন কৃত্রিম মেধার মতো উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। আমাদের উচিত দায়িত্ববোধের সঙ্গে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা। কেউ যেন এই ধরনের প্রযুক্তি অপব্যবহার না করেন, তার জন্য এ ব্যাপারে উপযুক্ত শিক্ষার প্রসার ঘটানো জরুরি।’’
তবে মোদী জানিয়েছেন তিনি ইতিমধ্যেই কৃত্রিম মেধা ব্যবহারকারী কম্পিউটার সিস্টেম চ্যাট জিপিটির সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের তিনি এ ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি বলেছেন, ডিপফেক প্রযুক্তিকে যেন তাদের তৈরি ভিডিয়ো বা অন্য বিষয়বস্তু নিয়ে হুঁশিয়ার করা হয়।