দীপা দাশমুন্সি। ফাইল চিত্র।
অন্য দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মাত্র কেন কোনও নেতাকে নির্বাচনের টিকিট বা দলের পদ দেওয়া হবে, তা নিয়ে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে প্রশ্ন তুললেন দীপা দাশমুন্সি। পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে কংগ্রেসে আসা বামফ্রন্ট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ় আলম সৈরানিকে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি এবং প্রাক্তন বিধায়ক আলি ইমরান রাম্জকে (ভিক্টর) সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। দীপা সে দিকেই আঙুল তুলেছেন।
দীপা প্লেনারি অধিবেশনের মঞ্চে বলেন, কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা পাঁচ বছর নিজের এলাকায় কাজ করেন। কিন্তু অন্য দল থেকে আসা মাত্রই কাউকে টিকিট দিলে বা দলের পদে বসিয়ে দিলে তাঁদের মনোবল ভেঙে যায়। ভোটে জিততে হলে ঠিক সময়ে, ঠিক ব্যক্তিকে ঠিক পদে বসানো জরুরি। কংগ্রেসের শঙ্কর মালাকার আবার প্রশ্ন তুলেছেন, অধিবেশনে সব কিছু নিয়ে আলোচনা হলেও ভোটে জেতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না কেন! প্লেনারি অধিবেশনের শোকপ্রস্তাব নিয়েও প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ গত পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে শুধু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম ছিল। সোমেন মিত্রের নাম ছিল না। কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিক জানিয়েছেন, প্রদেশ কংগ্রেসের থেকে পাঠানো নামই তালিকায় রাখা হয়েছে। আরও নাম এলে তা যোগ করা হবে।