ছবি ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত
লালকেল্লায় কৃষক বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চালানোর দায় পুরোপুরি অস্বীকার করলেন পঞ্জাবি অভিনেতা-রাজনীতিবিদ দীপ সিধু। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানে বলেছেন, ‘‘২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় ৫ লক্ষ লোক ছিল। ছিলেন আরও নেতা ও গায়করা। কাউকে না ধরে শুধু আমাকেই এখন দোষ দেওয়া হচ্ছে।’’ বিক্ষোভরত কৃষকদের সংগঠন ও পঞ্জাবের সাধারণ মানুষ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। ভিডিয়োতে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
দীপ ভিডিয়োতে বলেছেন, ‘‘আমি প়ঞ্জাব ও পঞ্জাবের সাধারণ মানুষের জন্য আওয়াজ তুলেছিলাম। কিন্তু আমাকেও বিশ্বাসঘাতক হিসাবে চিহ্নিত করা হল। কেন আমাকে একক ভাবে সবকিছুর জন্য দায়ী করা হল, সেটা বুঝতে পারছি না।’’ যদিও ভিডিয়োটিতে একবারের জন্যও ক্ষমা চাননি তিনি। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার পাশে ধর্মীয় পতাকা ওড়ানোর পক্ষেও সাফাই দিয়েছেন।
বলেছেন, ‘‘সরকারকে নিজেদের রাগের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই ওই দিন পতাকা তোলা হয়েছিল। কিন্তু কেউ পরবর্তীকালে আসল অবস্থানে অনড় রইলেন না। আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। সরকার কী বলেছে, তাতে এসে যায় না। কিন্তু সাধারণ মানুষ কী বলছেন, সেটা আমার দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
দিল্লি পুলিশ একাধিক অপরাধীকে ২৬ জানুয়ারির পর থেকে খুঁজছে। সেই তালিকায় দীপ সিধুও রয়েছেন। তিনি কোথায় আছেন, তা স্পষ্ট নয়। ভিডিয়োতে দীপের দাবি, তিনি বিহারী শ্রমিকদের সঙ্গে রয়েছেন। বেশ কয়েকদিন খাওয়া জোটেনি। ফল খেয়ে কাটাতে হয়েছে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘অনেকেই বলছেন, আমি মুম্বইয়ে আছি। না, আমি আছি আমার পরিচিত বিহারের কিছু শ্রমিকের সঙ্গে। মাঠে, ঘাটে দিন কাটছে। খাবারও জোটেনি, ফল খেয়ে কাটাচ্ছি। আমি যদি সরকারের কাছের লোক হতাম, তাহলে তো বিলাসবহুল হোটেলে থাকতাম।’’
বিজেপি সাংসদ সানি দেওয়লের সঙ্গে যোগাযোগেরবিষয়ে দীপ সিধুকে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সেই নিয়েও দীপের মন্তব্য, তিনি জীবনের মাত্র ২০ দিন সানি দেওলের জন্য নিবেদন করেছিলেন। ভেবেছিলেন তিনি দাদার মতো। কিন্তু তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে। তিনি সানি দেওলকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘‘আপনার কথা ছিল সাধারণ দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার। আপনি রইলেন না।’’