প্রতীকী ছবি।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের লিখিত দুঃখপ্রকাশ, প্রয়াত দুলাল পালের বাড়ি যাওয়া ও তাঁকে মরণোত্তর ভারতীয় ঘোষণার জন্য প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চালানোয় সাহায্যের আশ্বাস দেওয়ার পরেও ঢেকিয়াজুলির দুলাল পালের ছেলেরা বাবার দেহ ফেরত নিলেন না। গত রবিবার গুয়াহাটির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ‘বিদেশি ঘোষিত’ দুলাল পালের। ছেলেরা রবিবার জানিয়ে দিলেন, বাবাকে ভারতীয় ঘোষণা না-করা পর্যন্ত তাঁরা দেহ ফেরত নেবেন না। বাবাকে ভারতীয় ঘোষণা না-করলে দেহ পাঠানো হোক বাংলাদেশে। ফলে মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরেও গুয়াহাটির হাসপাতালে মর্গেই পড়ে দেহ।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে বাঙালি সংগঠনের নেতারা শনিবার জানান, তাঁরা পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী সারা অসম বাঙালি যুব ছাত্র পরিষদের দাবি মেনে জানান, ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে বিশেষ কমিটি গড়া হবে ও বন্দিদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে তৈরি হবে মেডিক্যাল টিম। তিন বছরের বেশি বন্দি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তির কমিটিতে বাঙালি সংগঠনের প্রতিনিধিও নিয়োগ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ও বাঙালি সংগঠনের বৈঠকের ফল জানার পরেও অনড় পালপুত্ররা। ছেলে আশিস পাল এ দিন শোণিতপুর থেকে গুয়াহাটি এলেও হাসপাতালমুখো হননি। বলেন, ‘‘দরকারে আত্মহত্যা করব, কিন্তু বাবাকে ভারতীয় ঘোষণা করা না হলে দেহ ফেরত নেব না।’’