নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করার ‘অপরাধে’ সম্প্রতি আইআইটি মাদ্রাজের ছাত্রগোষ্ঠী এপিএসসি-র স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছিল। শনিবার সেই ঘটনায় ক্যাম্পাসের বাইরে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএমের যুব-সংগঠন ডিওয়াইএফআই। পুলিশ আজ কয়েক জনকে আটকও করেছে।
গত ২২ মে আইআইটি মাদ্রাজের ছাত্র সংগঠন ‘অম্বেডকর পেরিয়ার স্টা়ডি সার্কেল’ (এপিএসসি)-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন ডিন অব স্টুডেন্টস শিবকুমার এম শ্রীনিবাসন। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সমালোচনা করে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল এপিএসসি। সভার কথা জানাজানি হতেই সেই সভা বাতিল করা হয়। ওই ছাত্রগোষ্ঠী সম্পর্কে জানতে চেয়ে সম্প্রতি একটি চিঠি দেয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। চিঠিটিতে লেখা ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার নিয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে ওই ছাত্রগোষ্ঠী। অভিযোগ, সেই চিঠি হাতে পেয়েই এপিএসসি-র স্বীকৃতি সাময়িক ভাবে বাতিল করেছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
তার পরেই বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফের বিতর্কের মুখে পড়েন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার সারা দিন টুইটারে চলে স্মৃতি ইরানি ও রাহুল গাঁধীর তরজা। ছাত্রগোষ্ঠীটির স্বীকৃতি বাতিলের ঘটনায় স্মৃতির নয়াদিল্লির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভও দেখায় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন।
শনিবার আইআইটি কাণ্ডে ডিএমকে ও এমডিএমকের সদস্যেরা হতবাক। এমডিএমকে নেতা ভাইকো এ দিন কার্যত এক হাত নিয়েছেন স্মৃতি ইরানিকে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ছাত্রদের বাক্ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার নেই কেন্দ্রের। একই সুর শোনা গিয়েছে লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের গলাতেও। তিনি ইমেলে এপিএসসি-কে তাঁর নিজের মতামত জানিয়েছেন।
ছাত্রগোষ্ঠী এপিএসসি-র অভিযোগ, ছাত্রদের বক্তব্য না শুনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। পরে আজ তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি শনিবার জানান, ছাত্রগোষ্ঠীর স্বীকৃতি হারানোর ঘটনায় বাক্ স্বাধীনতার কোনও প্রশ্নই নেই। ছাত্রগোষ্ঠীটি আইআইটির নিয়ম ভেঙেছে। তাই তাদের আংশিক সময়ের জন্য স্বীকৃতি বাতিল করা হচ্ছে। অগস্টে এই নিয়ে ছাত্রদের যুক্তি শুনেই যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।