এক বছরে দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
প্রতি ঘণ্টায় ১৮টি। গড়ে রোজ ৪২৬টি। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে দেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার এ যাবৎ সর্বোচ্চ। এক বছরে দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরো ‘ভারতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও আত্মহত্যা, ২০২১’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, গত বছর সারা দেশে ৪.০৩ লক্ষ সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩.৭১ লক্ষ লোক। মৃতের সংখ্যা ১.৫৫ লক্ষের বেশি। প্রতি হাজার যানবাহনে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার ২০২১ সালে ছিল ০.৫৩। যা ২০২০ (০.৪৫) এবং ২০১৯ (০.৫২)-এর থেকে বেশি। তবে ২০১৮ (০.৫৬) এবং ২০১৭ (০.৫৯)-এর থেকে কম।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘সাধারণত পথ দুর্ঘটনায় মৃতের চেয়ে আহতের সংখ্যা বেশি থাকে। কিন্তু মিজোরাম, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে আহতের তুলনায় মৃত্যু বেশি।’’ দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালে মিজোরামে ৬৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ২৮ জন। পঞ্জাবে ৬০৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ৩০৩৪ জন। ঝাড়খণ্ডে ৪৭২৮টি দুর্ঘটনায় ৩৫১৩ জন মৃত এবং ৩২২৭ জন জখম। উত্তরপ্রদেশে ৩৩,৭১১টি দুর্ঘটনায় মৃত ২১,৭৯২ জন আর জখম ১৯,৮১৩ জন।
গত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ৫৯.৭ শতাংশ দুর্ঘটনাই হয়েছে অতিরিক্ত গতির জন্য। তার বলি ৮৭,০৫০ জন। সেই সঙ্গে, ২.২৮ লক্ষ মানুষ আহত। অসতর্ক ও বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য ঘটেছে ২৫.৭ শতাংশ দুর্ঘটনা। তাতে মৃত্যু হয়েছে ৪২,৮৫৩ জনের। আহত হয়েছেন ৯১,৮৯৩ জন। জানা গিয়েছে, মাত্র ২.৮ শতাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিল খারাপ আবহাওয়া।
রিপোর্টে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে, মোটরবাইকের মতো ব্যক্তিগত পরিবহণের থেকে বাসের মতো গণ পরিবহণ নিরাপদ। দেখানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় মোট যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৪৪.৫ শতাংশ মানুষই দু’চাকার সওয়ারি ছিলেন। পাশাপাশি, ১৫.১ শতাংশ গাড়ির, ৯.৪ শতাংশ ট্রাকের এবং ৩ শতাংশ বাসের। আরও জানা গিয়েছে, মোট দুর্ঘটনার ৫৯.৭ শতাংশ (২.৪ লক্ষ ঘটনা) গ্রামীণ এলাকার আর ৪০.৩ শতাংশ (১.৬২ লক্ষ ঘটনা) শহরাঞ্চলের।