আজ সত্যাগ্রহ

অসমে মৃত্যু বেড়ে ৭, দ্বিচারিতায় ভাঙনের মুখে অগপ

রাজ্যের পরিস্থিতি ও মানুষের দাবি নিয়ে কথা বলতে অসম বিধানসভার স্পিকারের নেতৃত্বে সর্বদলীয় দল দিল্লি যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৪
Share:

ছবি: এএফপি।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে জখম আরও দু’জনের মৃত্যু হল আজ। ফলে আন্দোলনের জেরে ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া ও শোণিতপুর মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল সাত।

Advertisement

রাজ্যের পরিস্থিতি ও মানুষের দাবি নিয়ে কথা বলতে অসম বিধানসভার স্পিকারের নেতৃত্বে সর্বদলীয় দল দিল্লি যাবে। সারা অসম কর্মচারী পরিষদ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যে তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। আজ বাম মঞ্চেরও প্রতিবাদ চলে গুয়াহাটিতে। প্রতিবাদ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে। চন্দ্রপুরে অনশনে বসেন শিক্ষক, মহিলা, ছাত্রছাত্রীর। বিভিন্ন মঞ্চের প্রতিবাদ চললেও গুয়াহাটিতে রবিবার পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল ছিল।

আসু ও উত্তর-পূর্ব ছাত্র সংগঠন নেসোর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য ঘোষণা করেছেন, আসুর ডাকে আগামিকাল থেকে তিন দিন গুয়াহাটির লতাশিলের মাঠে সত্যাগ্রহ আন্দোলন হবে। দাবি তোলা হবে, ‘‘হয় আইন বাতিল করো, নয়তো আটক করো।’’ সমুজ্জ্বল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন নয়া আইনে হাতে গোনা কয়েক জন নাগরিকত্ব পাবেন। আমাদের দাবি, তা হলে তাঁদের ট্রেনে চাপিয়ে গুজরাতে পাঠিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক।’’ শিল্পী সমাজের প্রধান আহ্বায়ক হিসেবে জুবিন গর্গ বলেন, ‘‘সরকার দমননীতি চালিয়েছে। কয়েকটা বদমাশ ঢুকে আন্দোলনকে হিংস্র চেহারা দিয়েছে। তাদের খুঁজে বার করতে হবে। ছাত্রদের উপরে পুলিশের দমননীতি চলবে না।’’ তিনি ও আসু সভাপতি দীপাঙ্ক নাথরা বলেন, ‘‘বিজেপিকে ফেলার সময় এসেছে। কংগ্রেসও বাজে। অগপ ডুবেছে। এখন নিজেদের দল গড়ার সময় এসেছে।’

Advertisement

আরও পড়ুন: আলিগড়েও সংঘর্ষ, খালি করা হল হস্টেল

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ১৮টি আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ১৮ ডিসেম্বর প্রথম শুনানি। কংগ্রেস তার আবেদনে বলেছে, এই আইন সংবিধান ও অসম চুক্তির বিরোধী। অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারে বাইরের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। উত্তর-পূর্ব ছাত্র সংগঠন নেসো, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নাগরিক সমাজ ও আইনজীবীদের যৌথ মঞ্চও আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে। অতীতে বিল-বিরোধী কথা বললেও বিজেপি-শরিক অগপ রাজ্যসভায় বিলের পক্ষেই ভোট দিয়েছে। এই দ্বিচারিতার অভিযোগ ওঠায় চাপের মুখে অগপ নেতৃত্ব আজ জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্রকে ওই আইনের আওতার বাইরে রাখার আবেদন নিয়ে অগপও সুপ্রিম কোর্টে যাবে।

যদিও এতে দলে ভাঙন এড়ানো যাচ্ছে না। বিভিন্ন জেলায় অগপ কর্মীরা পদত্যাগ করছেন। আজ গুয়াহাটি মহানগর সমিতি সদর দফতরের সামনেই সভাপতি অতুল বরা, তিন মন্ত্রী ও সাংসদ বীরেন্দ্র প্রসাদ বৈশ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান দলের নেতা-কর্মীরা। অসম চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অগপ নেতা প্রফুল্ল মহন্ত প্রথম থেকেই সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে ও দলের মতের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement