বানভাসি গুজরাতের বিস্তীর্ণ অংশ। ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে গুজরাতের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিনে সেই রাজ্য থেকে মোট ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১৮ হাজার জনকে। তবে প্রশাসনের চিন্তা এবং উদ্বেগ বাড়িয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও গুজরাতের ১১টি জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। সে ক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ এলাকার উপরে একটি গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে। সেটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোচ্ছে। এই নিম্নচাপের কারণেই গুজরাতে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে গুজরাতে বিশ্বামিত্রি-সহ বেশ কয়েকটি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর, রাজকোট এবং পোরবন্দর জেলায়। শুধু দেবভূমি দ্বারকা জেলাতেই ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে যৌথ ভাবে অভিযান চালাচ্ছে সেনা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
বুধবারই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলকে ফোন করে সে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি এবং ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ নিয়ে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয় গুজরাত সরকারকে। বৃহস্পতিবার সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ এলাকার জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে গুজরাতের অন্য জেলাগুলিতেও।