এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত শিশুকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে মা। ছবি: পিটিআই
শিশুমৃত্যুর মিছিল অব্যাহত বিহারে। আজও তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সারা রাজ্যে মৃতের মোট সংখ্যা ১৫৬। রাজ্যের ১৬টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোম (এইএস) বা চমকি বুখার। মুজফ্ফরপুর জেলাতেই ১২২টি শিশু মারা গিয়েছে। এ ছাড়াও ভাগলপুর, বৈশালী, পূর্ব চম্পারণ, সীতামঢ়ী, সমস্তীপুর ও পটনায় মৃত্যুর খবর মিলেছে। অসুস্থ হয়েছে কম করে ৬০০ শিশু।
বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের ১৭ জন সাংসদকে প্রতি জেলাতে পেডিয়াট্রিক আইসিইউ তৈরির জন্য নিজেদের সাংসদ তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় নিজে সমস্তীপুর জেলা হাসপাতালে গত ১৯ জুন ওই টাকা বরাদ্দ করেছেন। আটটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্স বিহারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সেগুলি কাজও শুরু করেছে। তবে এ দিন বিহারে বর্ষা প্রবেশ করেছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। তার জেরে এই রোগের সংক্রমণ কমবে বলেই আশা করছে রাজ্য সরকার।
এ দিনই গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চেয়ে রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা। পাশাপাশি, নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির স্থানীয় নেতারাই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সরকারের ভিতরে বিজেপি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও স্থানীয় নেতাদের ক্ষোভ রয়েছে। তা সামাল দিতে রাজ্য নেতৃত্ব চেষ্টা চালাচ্ছে। বিধানসভার আগামী অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২৬ জুন থেকে। অধিবেশনে বিজেপি বিধায়কদের একাংশ নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।