বেঙ্গালুরুর ভেঙে পড়া বহুতলে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
চারতলার অনুমতি নিয়ে সাততলা তৈরি করেছিল নির্মীয়মাণ সংস্থা? বেঙ্গালুরুর নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জানান, ওই বহুতলটি বেআইনি। মালিকের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ঘটনার ১৮ ঘণ্টার বেশি কেটে গিয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও কয়েক জন আটকে বলে জানাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকাজে আনা হয়েছে ‘ডগ স্কোয়াড’কেও।
মঙ্গলবার দুপুরে হেন্নুর এলাকায় আচমকাই ভেঙে পড়ে ওই বহুতলটি। সেই বহুতলে কাজ চলছিল। ফলে শ্রমিকেরা চাপা পড়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল এবং উদ্ধারকারী দল। সরকারি এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘উদ্ধারকাজে অন্য কয়েকটি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’’ সরকারি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন আহত। ধ্বংসস্তূপের তলায় আরও কয়েক জন শ্রমিক আটকে আছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের বার করে আনার চেষ্টা চলছে।
গত কয়েক দিন ধরেই বেঙ্গালুরুতে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জেরেই কি বহুতলটি ভেঙে পড়ল? না কি নিম্ন মানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আহমেদ নামে এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘যখন দুর্ঘটনা ঘটে তখন সেখানে কাজ করছিলেন কমপক্ষে ২০ জন।’’ তাঁর অভিযোগ, ওই বহুতলের বেসমেন্টটি খুবই দুর্বল ছিল, যা ধসের অন্যতম কারণ হতে পারে।
সাততলার ওই বহুতল ভেঙে পড়ার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ওই বহুতল চারতলা পর্যন্ত নির্মাণের অনুমতি ছিল। তার পরও কী ভাবে আরও তিনতলা বৃদ্ধি করা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ শেষ হলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যদি সত্যি এমন কিছু ঘটে থাকে, তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।