বৃষ্টির কারণে মুম্বইয়ের বেশ কিছু এলাকায় জল জমেছে। — ফাইল চিত্র।
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রের বহু জেলা। রায়গড়ে ভারী বৃষ্টিতে ধস নেমে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ২১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্ধ ছিল উদ্ধারকাজ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় আবার উদ্ধার কাজ শুরু হয়। ইরশালওয়াড়ি গ্রামে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। অন্য দিকে, মুম্বইতে এখনও চলছে ভারী বৃষ্টি। শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা, এই ১০ ঘণ্টায় মুম্বই শহরে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আন্ধেরি, চেম্বুর, ঘাটকোপার, কুর্লা-সহ বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন। সে কারণে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। বাণিজ্যনগরীতে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ট্রেন চলছে দেরিতে। শনিবারও মুম্বইতে চলবে বৃষ্টি। শহরে কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
মুম্বইয়ের পাশাপাশি ঠাণে, রায়গড়, রত্নগিরিতেও বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ঠাণেতে বন্ধ স্কুল। রায়গড়ে বৃষ্টির কারণে ব্যহত উদ্ধারকাজ। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে জানিয়েছেন, রায়গড়ের যে আদিবাসী এলাকায় ধস নেমেছে, সেখানে ২২৮ জনের বাস। ৯৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ১০০ জনের খোঁজ চলছে। মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের বিলোলি তহসিলের ১২টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে ১০০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূ্র্বাভাস রয়েছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশায়। ২২ জুলাই, শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণে কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশে, তেলঙ্গানায়। মৌসম ভবন এই রাজ্যগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে। কেরলের কিছু জেলায় বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে তেলঙ্গানার সব স্কুল বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।