দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি মিলল ৯৭% দিল্লিবাসীর শরীরে! ষষ্ঠ সেরো-সার্ভের ফলে তেমনই প্রমাণ মিলেছে বলে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আজ জানান। যদিও ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে দিল্লি ও রাজস্থানের। মহারাষ্ট্রে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড রোগীর সংখ্যা যেমন প্রায় তিন হাজার বেড়েছে, তেমনই দৈনিক মৃত্যুও সাতশো পেরিয়েছে। কেরল সরকার ওই রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর পুরনো পরিসংখ্যান যোগ করার ফলেই এই বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৭৩৩টি মৃত্যুর মধ্যে ৬২২টিই কেরলের ঘটনা।
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় মিলিয়ে করোনার টিকাকরণে একশো কোটির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে ভারত। কিন্তু কেন্দ্রের পরিসংখ্যানই বলছে, দেশের অন্তত ৪৮টি জেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের প্রথম ডোজ়ের টিকা নেওয়ার হার ৫৫% পেরোয়নি। আসন্ন কালীপুজোর সপ্তাহেই ধন্বন্তরি জয়ন্তী। এই দেববৈদ্যকে স্মরণ করে ওই সপ্তাহ থেকেই পিছিয়ে থাকা জেলাগুলিতে ঘরে-ঘরে গিয়ে টিকা-প্রচারের কর্মসূচি হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। লক্ষ্য, জনসচেতনতা বাড়িয়ে টিকা নিতে মানুষকে উৎসাহ দেওয়া। গতকালই স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ৪৮টি জেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণে ওই ঘাটতির কথা জানানো হয়েছিল। দেশে করোনা পরিস্থিতি মোটের উপরে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, আসন্ন ছট-দীপাবলির মতো উৎসবের কথা মাথায় রেখে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
পাশাপাশি, দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই মুহূর্তে প্রায় সাড়ে দশ কোটি দেশবাসী দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও টিকা নেননি। তাঁদের দ্রুত টিকাকরণে বিশেষ জোর দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া জানান, রাজ্যগুলির হাতে ১২ কোটি টিকা রয়ে গিয়েছে। তা দিয়ে রাজ্যগুলিকে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ায় গতি বাড়াতে বলা হয়েছে।