মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের
নিঠারি কাণ্ডে পিঙ্কি সরকার ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দু’জনেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল শনিবার। আজ মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের এবং তার পরিচারক সুরেন্দ্র কোহলিকে মৃত্যুদণ্ড দিল গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত।
২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর নয়ডার নিঠারিতে ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি কঙ্কাল এবং কিছু দেহাবশেষ। জানা যায়, বেশ কিছু শিশু-কিশোর-কিশোরীর উপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে খুন করে তাদের দেহের অংশ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলেছে পান্ধের এবং কোহলি। বিষয়টি সামনে আসার পরে তোলপাড় শুরু হয় গোটা দেশে।
নিঠারি কাণ্ডের ১৯টি মামলার মধ্যে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে খারিজ হয়ে গিয়েছে তিনটি মামলা। বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে সাতটিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে কোহলিকে। সে রয়েছে গাজিয়াবাদের জেলে। একটিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল পান্ধেরকে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাকে জামিন দেয় উচ্চ আদালত। অষ্টম মামলায় রায় হয়েছে আজ। শনিবার এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই পান্ধেরকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এ দিন ২০ বছরের বাঙালি তরুণী পিঙ্কিকে অপহরণ, ধর্ষণ, খুন, প্রমাণ লোপাটের ঘটনায় পান্ধের এবং কোহলিকে ফাঁসির সাজা শোনান সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারক পবন তিওয়ারি। বিচারক জানিয়েছেন, এটি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মেরঠের জেলে দু’জনের ফাঁসির প্রক্রিয়া কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, ফাঁসির চূড়ান্ত দিন স্থির করবে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এ দিন শুনানির সময় পান্ধের এবং কোহলি—দু’জনেই আদালতে হাজির ছিল। শনিবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই পান্ধেরের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তিনি উচ্চ আদালতে আবেদন জানাবেন।
২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ নিঠারিতে একের পর যুবতী-কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করে। তদন্তে নেমে পান্ধেরের বাড়ি থেকে ১৯টি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলির মধ্যে একটি ছিল পিঙ্কির কঙ্কাল। পিঙ্কি পান্ধেরের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। যৌন নির্যাতনের পরে খুন করা হয় তাঁকে। তার পর তাঁর দেহ রান্না করে খেয়ে ফেলে পান্ধের এবং কোহলি।