Blast In Kerala

কেরলের বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু আরও এক জনের, আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল, জানাল পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নিহত নাবালিকার নাম লিবিনা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে তার শরীরের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। ‘ভেন্টিলেশন সাপোর্ট’-এ রাখা হলেও তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:০২
Share:

বিস্ফোরণের পর কনভেনশন সেন্টারের লন্ডভন্ড অবস্থা। ছবি: টুইটার।

কেরলের এর্নাকুলাম জেলার কোচি সংলগ্ন কালামাসেরি এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক জনের মৃত্যু হল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সোমবার ভোরে ১২ বছরের এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে বিস্ফোরণকাণ্ডে তিন জনের মৃত্যু হল। আহত ৫০ জনেরও বেশি। অন্য দিকে, প্রাথমিক তদন্তের পরই তদন্তকারীদের একাংশ জানিয়েছিলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা বৃদ্ধি করার জন্য আইইডি (ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ব্যবহার করা হয়েছিল। কেরল পুলিশও আইইডি ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নিহত নাবালিকার নাম লিবিনা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে তার শরীরের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। ‘ভেন্টিলেশন সাপোর্ট’-এ রাখা হলেও তার শারীরিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। রবিবার বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন এক জন মহিলা। পরে হাসপাতালে মারা যান ৫৫ বছরের আরও এক জন মহিলা। কালামাসেরি মেডিক্যাল কলেজের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক রবিবারই জানিয়েছিলেন, তাঁদের হাসপাতালে আহতদের মধ্যে দশ জন ভর্তি রয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। আর এক জনের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। সোমবার সকালে কেরলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেছেন, "আইসিইউতে থাকা আরও পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।" সে ক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল।

কেরলের কোচি শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কালামাসেরিতে তিন দিন ধরে একটি ধর্মীয় সম্মেলন চলছিল। রবিবার ছিল তার শেষ দিন। যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ২,০০০ জন। প্রার্থনার মাঝেই সকাল ৯টা ৪৭ মিনিট নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এক মিনিটে পর পর প্রায় তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে কেরল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ৪৮ বছরের এক ব্যক্তি। নাম ডোমিনিক মার্টিন। তিনিই এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কি না, তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। বিস্ফোরণের তদন্তের জন্য ২০ জন সদস্যের দল তৈরি করার কথা জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

Advertisement

তবে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় দায় নিয়ে যিনি আত্মসমর্পণ করেছেন, তিনিও ওই ধর্মীয় সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে কালামাসেরির এডিজিপি (আইন এবং শৃঙ্খলা) অজিত কুমার বলেন, ‘‘ত্রিশূর রুরালের কাডাকারা থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি। দাবি করেছেন, তিনিই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। তাঁর নাম ডোমিনিক মার্টিন। তিনি দাবি করেছেন, ওই একই ধর্মের অনুগামী তিনি। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই বিস্ফোরণকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে ব্যাখ্যা করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। বিস্ফোরণে জখমদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। সব হাসপাতালকে তৎপর থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ছুটিতে থাকা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় কেরলের রাজ্য প্রশাসনের তরফে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement