প্রতীকী ছবি।
খাটিয়ায় চাপিয়ে অসুস্থ মাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনেছিলেন। সেখানেই মৃত্যু হয়। কম্বলে ঢাকা শব নিয়ে একই ভাবে চৈত্রের রোদে-পোড়া পথ ধরে চলেছেন ফিরে। মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার ঘটনাটির টুকরো-দৃশ্য আলোড়ন ফেলেছে সমাজমাধ্যমে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য ‘‘এত হইচই’’ হওয়ার মতো কিছু দেখছেন না। জানাচ্ছেন, শববাহী যান থাকলে তবে তো পাওয়ার প্রশ্ন!
মঙ্গলবার বছর ষাটের ওই মহিলার মৃত্যু হয় রায়পুরের কর্চুলিয়ানের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে দেহ কাঁধে বয়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরের মেহসুয়া গ্রামে ফিরছিলেন মৃতার মেয়ে ও আরও তিন আত্মীয়া। পথচলতি একটি মোটরবাইক তা দেখে থামে। সওয়ারিরা তাঁদের প্রশ্ন করে জানেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র কোনও শববাহী যানের ব্যবস্থা করেনি। কথোপকথনের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে।
রেওয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বি এল মিশ্র জানিয়েছেন, গোটা জেলায় একটিও শববাহী যান নেই। দাবি করেছেন, এ ক্ষেত্রে অ্যাম্বুল্যান্স বা অটোর বন্দোবস্ত করার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু দেহ নিয়ে চলে যান পরিজনেরা। ওই আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘ভিডিয়ো করার থেকে একটা শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করলে কাজের কাজ হয়।’’ সমাজমাধ্যমে অনেকের প্রশ্ন, সেই দায়িত্ব সরকার কী ভাবে এড়িয়ে যায়?
সম্প্রতি খাস সরকারি প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টে উঠে এসেছে, আপদকালীন প্রয়োজনে টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে মধ্যপ্রদেশের প্রতিটি জেলায় রোজ গড়ে ৫৩ জন অ্যাম্বুল্যান্স পান না। বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স নিতে বলা হয় বছরে গড়ে দশ লক্ষ জনকে।