প্রতীকী ছবি।
দুর্নীতির অভিযোগে আইএএস আধিকারিক সঞ্জয় পপলির গ্রেফতারের পরই তাঁর ছেলে কার্তিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেল পঞ্জাবে। বাড়িতে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন আইএএস-পুত্র, এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। যদিও পরিবারের অভিযোগ, পঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরোর সদস্যরাই তাঁকে হত্যা করেছেন।
জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে আইএএসের বাড়িতে যায় ভিজিল্যান্স দল। সে সময়ই গুলি চালিয়ে কার্তিক আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাড়ির দোতলায় মাথায় লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন আইনের স্নাতক কার্তিক। শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। চণ্ডীগড়ের এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘এটা আত্মহত্যার ঘটনা। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কার্তিকের পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করব।’’
ছেলের মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছেন কার্তিকের মা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা আমাদের উপর চাপ দিচ্ছেন। জোর করে মিথ্যা বয়ান দিতে আমাদের পরিচারিকাদের হেনস্থা করছেন। আমার সাতাশ বছরের তরতাজা ছেলেটা চলে গেল। ও দারুণ আইনজীবী ছিল। ওরা কেড়ে নিল ওকে। আমি বিচার চাই। আদালতে যাব।"
তিনি বারবার বলতে থাকেন, ‘‘আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।" টেন্ডারে ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চলতি সপ্তাহে আইএএস আধিকারিক সঞ্জয় পপলিকে গ্রেফতার করে পঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরো।