—ফাইল চিত্র।
ক্ষমতার নেশা পেয়ে বসেছে ওদের। অহঙ্কারে মাটিতে পা পড়ছে না। তার জেরে বিপথগামী হয়ে পড়েছে নীতীশ কুমারের সরকার। বিধানসভা নির্বাচনের এক দিন আগে বিহারবাসীকে এমনই বার্তা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী। তাঁর দাবি, ভাল কথা বা কাজ, কোনওটাতেই নেই নীতীশ সরকার।
লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে জোট বেঁধে বিহার নির্বাচনে লড়ছে কংগ্রেস। সেই উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজ্যবাসীর উদ্দেশে একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি। নিজের টুইটারে হ্যান্ডলে এ দিন ভিডিয়োটি পোস্ট করেন রাহুল গাঁধীও। তাতেই বিহারে পরিবর্তনের ডাক দিতে দেখা যায় সনিয়াকে।
বিহারবাসীর উদ্দেশে সনিয়া বলেন, ‘‘বিহারের বর্তমান সরকারকে ক্ষমতার নেশা পেয়ে বসেছে। অহঙ্কারে মাটিতে পা পড়ছে না। তাই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে। ভাল কথা বা কাজ, কোনওটাতেই নেই ওরা। অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে শ্রমিকদের। কৃষকরা উৎকণ্ঠায় ভুগছেন। হতাশায় ভুগছে যুবসমাজ। সাধারণ মানুষ কংগ্রেসের মহাজোটের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁদেরকেই পরিবর্তন আনতে হবে।’’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মাদ্রাসায় বড়সড় বিস্ফোরণ, নিহত শিশু-সহ ৭, আহত ৭০
নোটবন্দি, লকডাউন নিয়েও নীতীশ ও বিজেপি জোটকে কটাক্ষ করেন সনিয়া। তাঁর দাবি, ‘‘বিহারের বুকে মহা সঙ্কট নেমে এসেছে। দলিত, অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ লাগাতার নিপীড়নের শিকার সেখানে। বর্তমান বিহার সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার, দু’টোই আসলে বন্দি সরকার। ওরা শুধু নোটবন্দি, লকডাউন করতে জানে, যা গোটা দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট ডেকে এনেছে।’’
সনিয়া আরও বলেন, ‘‘প্রতিভা, শক্তি, লোকবল এ সবই বিহারে রয়েছে। তা সত্ত্বেও স্বজন বিচ্ছেদ, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং অনাহারের অভিশাপ বয়ে বেড়াতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। অপরাধমূলক কাজকর্মে মদত জুগিয়ে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে সরকার গড়া যায় না। তাই বিহারবাসীর কাছে অনুরোধ, মহাজোটকে ভোট দিয়ে পরিবর্তন আনুন।’’
আরও পড়ুন: এক দিনে সংক্রমিত ৩৬ হাজার ৪৭০, তিন মাসে সর্বনিম্ন, সুস্থতার হার ৯০.৬২%
বুধবার থেকে তিন দফায় বিহারের ৭১টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। নীতীশ ও বিজেপির জোটকে রুখতে আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, সিপিআই (এমএল), মিলে মহাজোট গড়েছে। আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদব তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় জেল খাটছেন লালুপ্রসাদ। তার অনুপস্থিতিতে তিনি কতটা সফল হতে পারেন, তার উপরই তেজস্বীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।