ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে উচ্চপদস্থ আইএএস অফিসার বি কে বনশলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার দু’দিন পরে পূর্ব দিল্লির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের দেহ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। ১৭ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল বনশলকে। সেই সময় তাঁদের ফ্ল্যাটে তল্লাশিও চালায় সিবিআই। আর তার জেরেই এই আত্মহত্যা বলে মনে করছে পুলিশ।
সিবিআই সূত্রে খবর, গত ১৭ জুলাই দুর্নীতিমূলক কাজকর্মের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আইএএস অফিসার বনশলকে। তিনি কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। অভিযোগ, একটি ওষুধ সংস্থার বেআইনি কাজকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বনশলকে ৯ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, ওই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব দিল্লির মধুবিহারে নীলকণ্ঠ অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটের দু’টি আলাদা ঘর থেকে বনশলের স্ত্রী সত্যবালা (৫৮) এবং মেয়ে নেহার (২৭) ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে দু’টি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না বনশলের ছেলে।
তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চালানোয় তাঁরা খুবই অপমানিত হয়েছেন। তাঁদের মৃত্যুর জন কেউ দায়ী নন। এ দিনের ঘটনার পর সিবিআইয়ের বক্তব্য, ‘‘ আমরা শোকাহত। ওই দুর্নীতিমূলক কাজকর্মে বনশলের স্ত্রী ও মেয়ের যোগ নেই। তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। আত্মহত্যার তদন্ত করছে স্থানীয় পুলিশ।’’