National News

সহকর্মীদের রাখি পরাতেই হবে, ফতোয়া দিয়ে পিছোল সরকার

পুরুষ সহকর্মীদের হাতে মহিলা কর্মীদের রাখি বাঁধার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। অফিসে যাতে আর কোনও ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’ তৈরি না হতে পারে সেই জন্যই কী এমন নিদান দিয়েছিল প্রশাসন?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ১৫:৫০
Share:

—ফাইল চিত্র।

রোজই অফিস থেকে ঘরে ফিরতে দেরি। খুব নাকি কাজের চাপ! কিন্ত এ কথা মোটেই বিশ্বাস করতে পারেন না মিস্টার সান্যালের স্ত্রী। অফিসে যে একটা জোরদার পরকীয়া চালাচ্ছেন তাঁর স্বামী, এ ব্যাপারে প্রায় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত তিনি।

Advertisement

উল্টো দিকে এই একই ধারণা প্রমিতার স্বামীরও। অফিস ট্যুরে যাওয়ার নামে প্রমিতা যে মাঝে মধ্যেই আর্যের সঙ্গে শর্ট ট্যুরে যায়, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই তাঁর মনে।

এমন ঘটনা খুব একটা অপরিচিত নয় আশেপাশে। একটু নজর করলে এমন দু’চারটে ‘অফিস প্রেম’ চোখে পড়বে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিষয়টা স্রেফ ‘সন্দেহ’!

Advertisement

আরও পড়ুন: লালুকে ঠেকাতে উন্নয়নই নীতীশের হাতিয়ার

সেই সম্ভাবনার চারাগাছটাই কী অঙ্কুরে বিনাশ করতে চেয়েছিল দমন ও দিউ সরকার? পুরুষ সহকর্মীদের হাতে মহিলা কর্মীদের রাখি বাঁধার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। অফিসে যাতে আর কোনও ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’ তৈরি না হতে পারে সেই জন্যই কী এমন নিদান দিয়েছিল প্রশাসন? নাকি মহিলা অফিসকর্মীদের উপর যৌন হেনস্থা রুখতেই এমন নির্দেশিকা? তা অবশ্য খোলসা করা হয়নি সরকারের তরফে। কিন্তু এমন অভূতপূর্ব নির্দেশের পর থেকেই একের পর এক প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হল প্রসাশন।

ঘটনাটি ঠিক কী?

মঙ্গলবার দমন ও দিউ প্রশাসন একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। আগামী ৭ তারিখ রাখি পূর্ণিমা। প্রশাসনের ওই নির্দেশিকায় দমন ও দিউ-এর ডেপুটি সেক্রেটরি গুরপ্রীত সিংহ জানিয়েছিলেন, ওই দিন প্রতিটি অফিস, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর্সে রাখি পূর্ণিমার অনুষ্ঠান পালিত হবে। সমস্ত অফিসও খোলা রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, রাখির অনুষ্ঠান উপলক্ষে মহিলা অফিসকর্মীকে তাঁদের পুরুষসহকর্মীর হাতে রাখি বাঁধতে হবে। এবং ওই দিন কেউ অফিসে অনুপস্থিত হতে পারবেন না। কিন্তু এই নির্দেশের পরেই প্রতিবাদ শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।

আরও পড়ুন: বিশ্ব স্তন্যদান সপ্তাহ: সদ্যোজাতর একমাত্র পুষ্টিকর খাবার মায়ের দুধ

অনেকেই প্রশ্ন তোলেন সরকারের জোর করে চাপানো এই নির্দেশের যৌক্তিকতা নিয়ে। রাখি পূর্ণিমা যেখানে ভাই-বোনের সম্পর্কের একটি অনুষ্ঠান, সেখানে এই অনুষ্ঠান অফিসের সহকর্মীদের মধ্যে টেনে নিয়ে আসা হবে কেন? পাশাপাশি, অনেকে অভিযোগ তোলেন, অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে পেশাদারির সম্পর্ক বজায় রাখাই উচিত। সেখানে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করার উপর চাপ দিতে পারে না সরকার।

অবশেষে রাজ্য জুড়ে প্রবল প্রতিরোধের মুখে এক দিনের মধ্যেই ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে বাধ্য হল দমন ও দিউ প্রশাসন।

আরও পড়ুন: মানিয়ে নিতেই হবে? কেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement