প্রতীকী ছবি।
হাতের ব্যাগে একটি পাঁচ মাসের ভ্রূণ। সেটি নিয়ে বুধবার মধ্যপ্রদেশের সাতনার এসপি-র দফতরে হাজির ১৬ বছরের এক দলিত মেয়ে। নাবালিকার অভিযোগ একাধিক বার গণধর্ষণ করা হয়েছে তাকে। ধর্ষণের ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে জোর করে তার গর্ভপাতও করানো হয়েছে।
এই ঘটনায় অভিযোগে তির নীরজ পাণ্ডে, তাঁর ভাই ধীরজ পাণ্ডে এবং তাঁদের সঙ্গী প্রেম সিংহ, রাজকুমার এবং নার্স স্বপ্না পাণ্ডের দিকে। প্রেম ও রাজকুমার নিগৃীতাকে অপহরণে এবং স্বপ্না তাঁর গর্ভপাতে সাহায্য করেছিলেন। এসপি রাজেশ হিঙ্গনকর জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
নিগৃহীতা এবং সব অভিযুক্ত সাতনা শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরের একই এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের কাছে দলিত মেয়েটির অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরে নীরজ এবং ধীরজ তাকে ধর্ষণ করেন। সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে নীরজ তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি। গত ২ ফেব্রুয়ারি অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে দুই ভাই মিলে ফের তাকে গণধর্ষণ করেন।
নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, গত মঙ্গলবার সে মায়ের সঙ্গে ছিল। সেই সময় নীরজ, ধীরজ, প্রেম সিংহ এবং রাজকুমার জোর করে তাকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে স্বপ্নার সাহায্যে তার গর্ভপাত করানো হয়। ভ্রূণটি ফেলে দেওয়া হয় একটি নর্দমায়। বিচার চাইতে সেই ভ্রূণটি নিয়েই সে হাজির হয় এসপি-র দফতরে। নির্যাতিতার দাবি, আগেই সে স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল। কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি।
এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সাব-ইনস্পেক্টর আর পি তিওয়ারি বলেন, ‘‘নির্যাতিতার বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। কোথায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, কোথায় তার গর্ভপাত করানো হয়েছে, গোটা ঘটনায় অন্য কারও কোনও ভূমিকা ছিল কি না, সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’