প্রতীকী ছবি।
মধ্যপ্রদেশের প্রস্রাবকাণ্ডের পর এ বার রাজস্থানে এক দলিত বৃদ্ধকে জুতো চাটানো, জোর করে প্রস্রাব খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল কংগ্রেস বিধায়ক, ডেপুটি পুলিশ সুপার-সহ চার জনের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
জয়পুরের জমবারামগড়ের বাসিন্দা বছর একান্নর এক ব্যক্তি অভিযোগ তুলেছেন যে, প্রায় দেড় মাস আগে গত ৩০ জুন নিজের ক্ষেতে কাজ করছিলেন। সেই সময় কিছু পুলিশকর্মী এসে তাঁদের মারতে মারতে একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানে আগেই থেকেই হাজির ছিলেন ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) শিবকুমার ভরদ্বাজ। তিনিও মারধর করেন। তার পর তাঁর গায়ে প্রস্রাব করে দেন।
ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, ডিএসপি জমবারামগড়ের কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল মিনার নাম নিয়েও তাঁকে শাসান। কিছু ক্ষণ পরেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক। তিনিও ওই ব্যক্তিকে শাসান। এফআইআরে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন যে, শুধু শাসানোই নয়, বিধায়ক তাঁকে জুতো চাটতেও বাধ্য করেন। এই ঘটনার কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তির আরও দাবি, তাঁর কাছ থেকে মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়। পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও তারা তা নিতে অস্বীকার করে বলেও দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) এবং ডিজির কাছেও বিষয়টি জানান, কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শেষে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। গত ২৭ জুলাই আদালতের নির্দেশের পর এফআইআর দায়ের হয়। জমবারামগড় থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।
গত জুলাইয়ে মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় এক আদিবাসী ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছিল প্রবেশ শুক্ল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, সেই ব্যক্তি বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বলে স্থানীয়দের দাবি। সেই ঘটনার পর গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ ময়দানে নামতে হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে। ওই ব্যক্তিকে নিজের বাসভবনে ডেকে পা ধুইয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই-ই নয়, এই ঘটনার জন্য ক্ষমাও চান তিনি।