আক্রান্ত দলিত যুবক। ছবি: ফেসবুক।
হুমকি, গালিগালাজ চলছিল বেশ কয়েক দিন ধরে। নাম বদলের জন্য এবার উচ্চবর্ণের লোকজনদের হাতে আক্রান্ত হলেন গুজরাতের এক দলিত যুবক। অপরাধ? নিজের নামের মাঝে তিনি এমন একটা শব্দ যোগ করেছিলেন, যা নাকি শুধুমাত্র উচ্চবর্ণের লোকজনই ব্যবহার করেন।
অমদাবাদের ঢোকলা শহরে এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দিন কয়েক আগেই গুজরাতের রাজকোটে চোর সন্দেহে এক দলিতকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান তাঁর স্ত্রী। সে ঘটনা নিয়ে গুজরাতের বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী। কিন্তু জিগ্নেশের অভিযোগের পরেও মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতে দলিত নিগ্রহে ছেদ পড়ল না। ঢোকলার বছর বাইশের মৌলিক যাদবকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর বাড়ি। এই ঘটনায় যাদের নাম উঠে এসেছে, তারা প্রত্যকেই উচ্চবর্ণের।
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বানসকন্ঠে দলিত নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে, নিজের পদবির আগে ‘সিন’ শব্দটি ব্যবহার করার কথা ফেসবুকে জানান মৌলিক। আর এ নিয়েই প্রবল সমস্যা শুরু হয়। ‘সিন’ কথাটির মানে সিংহ। সাধারণত তা রাজপুত কিংবা দরবার সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যবহার করেন। মৌলিক যাদব থেকে মৌলিকসিন যাদব হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। অন্যদিকে মৌলিকের যুক্তি ছিল, বানসকন্ঠে ঠিক একই কারণে এক দলিত আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর প্রতিবাদেই তিনি নিজের নামের সঙ্গে মধ্যপদ হিসেবে ‘সিন’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন: হোটেলে বচসা, কাশ্মীরে ফের বিতর্কে মেজর
আরও পড়ুন: দোষী নয় সেই বাদুড়, কর্নাটকের পথে নিপা
এর পরেই হামলা, মারধর, বাড়ি ভাঙচুর। মৌলিকের অভিযোগ, সহদেবসিন বাঘেলা নামের এক ব্যক্তি হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচ জন। এর আগেও বেশ কয়েকটি দলিত নিগ্রহের ঘটনায় যুক্ত সহদেব। মৌলিকের দাবি, পুলিশের কাছে নালিশ জানালেও এখনও পর্যন্ত প্রতিকার মেলেনি। গ্রেফতার করা হয়নি সহদেব