রাম শাকাল।
দলিত ও কৃষক অসন্তোষে জেরবার নরেন্দ্র মোদী সরকার। মন জয়ে নেওয়া হচ্ছে একাধিক জনমুখী পদক্ষেপ। সেই পথে হেঁটে কৃষক ও দলিত সমাজকে বার্তা দিতে রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বাছা হল সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ নেতা রাম শাকালকে। কৃষি ক্ষেত্রে ও দলিতদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে উল্লেখ্য অবদানের জন্য আজ তাঁকে সংসদের উচ্চ কক্ষের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি ছাড়াও তালিকায় স্থান পেয়েছেন সঙ্ঘের তাত্ত্বিক নেতা রাকেশ সিন্হা-সহ চার জন। ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর, অভিনেত্রী রেখা, ব্যবসায়ী অনু আগা ও প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল কে পরাসরণের স্থানে মনোনীত হচ্ছেন নতুনেরা।
এক সময়ে উত্তরপ্রদেশে সঙ্ঘ প্রচারক হিসেবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন রাম শাকাল। পরবর্তী সময়ে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হন ওই দলিত নেতা। উত্তরপ্রদেশের রবার্টসগঞ্জ থেকে তিন বার সাংসদও হয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রে কৃষক ও দলিতদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে কৃষক ও দলিত সমাজের ভোট হারিয়েছে বিজেপি। মুখ ফেরাচ্ছেন তাঁরা। ওই বিষয়টি মাথায় রেখেই ক্ষত মেরামতিতে রাম শাকালকে রাজ্যসভার মনোনীত প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপি মনে করছে, দল যে দলিত নেতাদের পাশে রয়েছে, রাম শাকালের নির্বাচনে সেই বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রপতির তালিকায় স্থান পেয়েছেন সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বিশিষ্ট জন রাকেশ সিন্হা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতিলাল নেহরু কলেজের ওই অধ্যাপক ‘ইন্ডিয়ান পলিসি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তিনি ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ’-এরও সদস্য। এ ছাড়া আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেডগেওয়ারের জীবনীরও রচয়িতা তিনি। ওই দু’জন ছাড়া বাকিরা হলেন, স্থাপত্যবিদ রঘুনাথ মহাপাত্র ও নৃত্যশিল্পী সোনাল মানসিংহ। রঘুনাথ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভাস্কর। সোনাল মানসিংহ নাচের জগতে অত্যন্ত পরিচিত নাম।
সংবিধানের ৮০(১) ও ৮০(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সমাজের বিভিন্ন পেশা ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন এমন ১২ জনকে সংসদের উচ্চ কক্ষের জন্য মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। সচিন-রেখারা সরে যাওয়ায় চারটি পদ খালি পড়ে ছিল। আজ সেই পদগুলিতে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি।