Bharat Bandh

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আপত্তি! পথে নামছেন আদিবাসী ও দলিতেরা, বুধবারের ভারত বন্‌ধ নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন

বুধবার ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে ‘ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ দলিত অ্যান্ড আদিবাসী সংস্থা (এনএসিডিএওআর)। বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও তাদের ডাকা বন্‌ধে সমর্থন জানিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ০৮:০১
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাতিলের প্রতিবাদে পথে নামছেন দলিত, আদিবাসীরা। বুধবার ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে ‘ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ দলিত অ্যান্ড আদিবাসী সংস্থা (এনএসিডিএওআর)। বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও তাদের ডাকা বন্‌ধে সমর্থন জানিয়েছে। অন্য দিকে, বন্‌ধের কারণে আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেই জন্য বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন পদক্ষেপ করছে বলেই খবর। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি ক্ষেত্রে এই বন্‌ধের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

এনএসিডিএওআর-র দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করুক কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অনগ্রসর জাতির জন্য ন্যায়বিচার এবং সমতা রক্ষারও দাবি জানানো হয়েছে। তাদের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের কথাও জানিয়েছে এনএসিডিএওআর। তাদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রায় তফসিলি জাতি, উপজাতির সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে। সেই কারণে অবিলম্বে জাত-ভিত্তিক তথ্য প্রকাশের দাবিও তুলেছে এনএসিডিএওআর।

শুধু কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কাছে নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কাছেও তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অনগ্রসর জাতির জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বুধবার শান্তিপূর্ণ বন্‌ধের ডাক দিয়ে সকলকে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছে এনএসিডিএওআর। তবে শুধু বুধবারের বন্‌ধেই তাদের আন্দোলন সীমাবদ্ধ থাকবে না তা-ও স্পষ্ট করা হয়েছে। দাবি মানা না হলে, ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে এনএসিডিএওআর।

Advertisement

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শীর্ষ আদালত একটি মামলার রায়ে জানায়, তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সমাজের মধ্যে যাঁরা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল তাঁদের সংরক্ষণ বাতিল করে দেওয়া হোক। পরিবর্তে তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সমাজের আর্থিক সিঁড়িতে যাঁরা একেবারে নীচে রয়েছেন, সেই অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে তাঁদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার পক্ষে রায় দেয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়-সহ সাত সদস্যের বেঞ্চের মধ্যে ছ’জন ‘কোটার মধ্যে কোটা’-র পক্ষে রায় দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement