দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র
নয় নয় করে দশে পা দিয়েছে ইন্দিরাপুরমের প্রান্তিক কালচারাল সোসাইটি। আর দশম বর্ষে এক টুকরো মায়া সভ্যতাকে তুলে আনা হয়েছে দিল্লি সংলগ্ন এই পুজোয়। মানব সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাসকে এ যুগে দাঁড়িয়ে আরও এক বার ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন উদ্যোক্তারা।
এগিয়ে এসেছে মেক্সিকো দূতাবাসও। ছবি, তথ্য ও ফটো দিয়ে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা। পুজোয় বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতে নিযুক্ত মেক্সিকোর উপরাষ্ট্রদূতকেও। পুজো কমিটির চেয়ারম্যান মলয় মজুমদার বলেন, ‘‘থিম হিসাবে প্রাচীন কোনও সভ্যতাকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা থেকেই পৃথিবীর চতুর্থ প্রাচীনতম সভ্যতা মায়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’’ আর এক উদ্যোক্তা রাজীব রায় জানান, ‘‘গোটা মণ্ডপটি বানানো হয়েছে দু’টি পিরামিড দিয়ে। গোটাটাই করা হয়েছে ফাইবার ঢালাইয়ে।’’
আবার অন্যতম পুরনো পুজো ‘নয়ডা কালী বাড়ি’ বদলে গিয়েছে দক্ষিণশ্বেরের মন্দিরে। মূল মন্দির থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মূল প্রবেশ দ্বারের অনুকরণে পুজো-মণ্ডপটি ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। উদ্যোক্তা অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘প্রতি বছর ভারতের কোনও না-কোনও পুরাতত্ত্ব নিয়ে মণ্ডপ করে নয়ডা কালী বাড়ি। এ বার দক্ষিণেশ্বর। স্থানীয় অবাঙালি সমাজের একটি বড় অংশ দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের নাম শুনলেও চোখে দেখেননি। তাদের মন্দির সম্পর্কে জানানোর এ’টি একটি প্রচেষ্টা।’’ মন্দির প্রাঙ্গণের সামনের মাঠে এ বারও রয়েছে ভূরিভোজের ব্যবস্থা। থাকছে একাধিক অনুষ্ঠান।
এ দিকে দিল্লির করোলবাগ পুজো সমিতি এ বারে পা দিয়েছে ৭৭ বছরে। দিল্লির অন্যতম পুরনো পুজো। স্বর্ণশিল্পীদের বড় বাজার করোলবাগ। কিন্তু জিএসটি-র মারে ব্যবসায় মন্দা। কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক ভৌমিক জানালেন, উপরন্তু দিল্লি পুরসভা মাত্র ১৫ দিনের জন্য পার্ক দিয়েছে। তাই থিমের পরিবর্তে সাবেকি পুজোয় ফিরে গিয়েছে করোলবাগ। বাজেট কমেছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। নামীদামি শিল্পীদের পরিবর্তে এ বার তাই অনুষ্ঠান করার সুযোগ পাচ্ছেন উঠতি প্রতিভারা।